রিজার্ভে চুরি
ব্যক্তির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান
নৈতিক দায় নিয়ে পদত্যাগ করার কথা বলেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। যদিও কীসের নৈতিক দায় সেটা পরিষ্কার নয়। ফেডারেল রির্জাভ ব্যাংকে গচ্ছিত বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা চুরি যাওয়ায়? নাকি চুরির ঘটনাটি একমাসের বেশি সময় অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের কাছে গোপন করায়? বিষয় এক হলেও এখানে ঘটনা দুটি এবং দুটিরই গুরুত্ব আলাদা। প্রথমটি সাইবার আক্রমণ বা দুর্ঘটনা হলেও পরেরটি কিন্তু দুর্ঘটনা নয়। এমনকি ভুলও নয়, অন্যায়, গুরুতর অপরাধের শামিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরের মতো সর্বোচ্চ দায়িত্বশীল পদে এহেন কাজ কোনোমতেই কাম্য নয়। রিজার্ভ জনগণ তথা রাষ্ট্রের সম্পদ যার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সুতরাং জনগণের আমানত রক্ষা করতে না পারার দায় অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
নৈতিকতার প্রশ্নটির যেহেতু উঠেছে তাই জবাবদিহিতার বিষয়টিও আলোচনার দাবি রাখে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদটি সাংবিধানিক, যার নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান অর্থমন্ত্রণালয়। ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের আদেশ অনুযায়ী ওই প্রতিষ্ঠানের কাছেই পদত্যাগ করার কথা। তিনদিনের ভারত সফর শেষে তিনি কী সেই দায়িত্ব পালন করেছেন? এমনকী সাধারণ সৌজন্য ও দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজন বোধ করেননি। অর্থমন্ত্রীকে ডিঙ্গিয়ে পদত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। সম্পর্ক যেমনই হোক না কেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাশ কাটিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই। তা সে যত বড় পদের ব্যক্তি হোক না কেন। এহেন দায়িত্বশীল কর্তাব্যক্তির শৃঙ্খলা ভঙ্গের এই উদাহরণ আরেকটি নজির হয়ে থাকবে বাংলাদেশে। এতকিছুর পরও কী ‘নৈতিক দায়’ এমন কথা বলার সুযোগ আছে না উচিত?
নিজের সন্তানের সবচেয়ে কঠিন সময়ে তাকে ফেলে রেখে সাধারণত দূরে কোথাও যান না অভিভাবকরা। কিন্তু ড. আতিউর রহমান তিন দিনের বিদেশ সফরের মায়া ছাড়তে পারেননি! এমন নয় যে, আইএমএফের ওই আয়োজনটি নীতিনির্ধারণী কিছু ছিল। তাইতো এ বিদেশ সফর অভিভাবকের পরিচয় যথেষ্ঠ ক্ষুণ্ণ করেছে। ভীষণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে গভর্নরের দায়িত্বশীলতা। এ কারণে রিজার্ভে চুরির ঘটনার চেয়ে এসব বিষয়ে বেশি সমালোচনা-গঞ্জনা শুনতে হয়েছে আতিউর রহমানকে। দেশের মানুষ ভীষণ আবেগপ্রবণ তা হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি দুই সন্তানের মৃতদেহ হাসপাতলে ফেলে রেখে গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলেন বাবা ও মা। প্রিয় সন্তানের কবর খোঁড়াসহ দফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করতে। গণমাধ্যমে বিস্ময়কর এ খবর দেখে আৎকে উঠেছিল সাধারণ মানুষ। বিশ্বাস করতে পারছিল না, ভীষণভাবে তাদের অনুভূতিতে আঘাত হেনেছিল। দুটো ঘটনা আলাদা হলেও গভর্নরের দিল্লি সফর ভালো চোখে দেখেনি সাধারণ মানুষ। জনগণের অনুভূতি ধাক্কা খেলেও হয়তো তিনি ভেবেছিলেন ‘দিল্লি বিজয়ের’ সংবাদে সবকিছু উৎরে যাবেন। হয়তো ভারতবর্ষের প্রধানমন্ত্রী-অর্থমন্ত্রী, আইএমএফের প্রধানের সঙ্গে প্রতিবেশী গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকের মর্মটা অনুধাবন করতে পারেনি আমজনতা! বিধি বাম! সফর শেষে দেশে ফিরলেও আদরের সন্তানের কাছে যেতে পর্যন্ত পারলেন না কিংবা নিজেই হয়তো যেতে চাননি!
দিল্লি যাওয়ার আগে বিএইবিএমের অনুষ্ঠানে দুই দফায় সংবাদকর্মীরা তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলেন বিষয়টির হাল-হকিকত। এসব বিষয়ে তিনি কথা বলেন না বলে সেদিন বিরক্তি দেখিয়ে ছিলেন। অথচ পদত্যাগের আগে ও পরে দুই দফায় সংবাদকর্মীদের ডেকে বক্তব্য তুলে ধরতে হয়েছে তাঁকেই। এমন নজির দেশে তো নয়ই, বিশ্বেও খুঁজে পাওয়া কঠিন! রিজার্ভে চুরির ঘটনাটিকে তিনি ‘টেরোটিস্ট অ্যাটাকের’ মতো বলেছেন। তুলনা করেছেন ভূমিকম্পের সঙ্গে। আপাতদৃষ্টিতে শুনতে বেশ ভালো ও যৌক্তিক মনে হতে পারে তাঁর ব্যাখা। কিন্তু আদৌও কি তাই? সাধারণভাবে কোথাও ভূমিকম্পের পর রিখটার স্কেলের মাত্রা কত এবং উৎপত্তিস্থল কোথায় এ দুই তথ্য জানা জরুরি। কারণ ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল আমেরিকা কিংবা চিলি হলে তার আঘাত বাংলাদেশে লাগবে না বললেই চলে। কিন্তু এরচেয়ে কম ৭ মাত্রার ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু নেপাল-ভূটান বা ভারত হলে আঘাতটা অনেক হবে বাংলাদেশে। আর কেন্দ্রস্থল টাঙ্গাইল বা চট্টগ্রাম তাহলে এতেই রাজধানী পরিণত হতে পারে ভয়াবহ! ফলে উৎপত্তিস্থলের নামটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সঙ্গত কারণেই ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ৯ মাত্রার মতোর অঙ্কটা প্রায় এক বিলিয়ন ডলার হওয়ায় ঝাঁকুনিটা বেশি লেগেছে। যদি শেষতক রক্ষা যে, কিছুটা ঠেকানো গেলেও পাচার হয়েছে ৮০০ কোটি টাকার সমান ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার। যা হয়তো গোপনে ম্যানেজ করতে পারবেন বলেই অর্থমন্ত্রণালয়কে জানাননি গভর্নর। ভূমিকম্পের জন্য কাউকে দায়ী করা হয় না। দায় নিতে হয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে আহতদের দ্রুত সেবা প্রদানসহ উদ্ধার অভিযান ঠিকভাবে পরিচালনা করতে না পারায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্ষেত্রেও কিন্তু একই কথা প্রযোজ্য।
আর একটা তথ্য গোপন করতে গেলে অনেক মিথ্যার আশ্রয় নিতে হয় তা আবারও প্রমাণিত হলো। অর্থমন্ত্রণালয়ের কাছে গোপন করতে গিয়ে ব্যাংকের অডিট কমিটির সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেনি। এমনকী পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের পর্যন্ত বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন আতিউর রহমান। অর্থ চুরির চেয়ে একি কম অপরাধ? যেমন করে গোপন করতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাসের প্রথমবারের মতো ভল্ট থেকে কয়েক লাখ টাকা চুরির ঘটনা। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শিখিয়েছেন ‘অন্যায় যে করে আর অন্যায় যে সহে ..!” ধরা যাক, দেশের একটি ব্যাংক থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি গেছে কয়েক লাখ ডলার! ওই ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যদি টাকাটা উদ্ধারে গোপনে চোর খুঁজে বেড়াতে গিয়ে এক সপ্তাহ পার করে ফেলেন এবং পরে তা জানতে পারলে মেনে নিতেন গভর্নরসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ? নিশ্চিত করেই বলা যায় কোনোভাবেই মানতেন না তাঁরা। উল্টো বলতেন, বিষয়টা সাথে সাথে আমাদের অবহিত করা উচিত ছিল। আর তাতে আমাদের প্রযুক্তিবিদসহ বিশেষজ্ঞরা আপনাদের সহায়তা করতে পারত। সুতরাং দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাঁকে অপসারণের নির্দেশ দিত কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে তাদের অ্যাকশন নেওয়াটাই কাম্য। তাহলে রিজার্ভে চুরির ঘটনা গোপন করার দায়ে কেন গভর্নর অভিযুক্ত হবেন না? যদিও তিনি বলেছেন, স্বেচ্ছায় বীরের বেশে পদত্যাগের কথা! টানা এক সপ্তাহ গভর্নরের বিরুদ্ধে অর্থমন্ত্রীর ব্যবস্থা নেওয়ার রুদ্রমূর্তি দেখেছি সবাই। তারপরও এটা ‘বীর যাত্রা’! সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে রঙ্গরস কম হচ্ছে না। কিছু দিন আগে এটিএম কার্ড ক্লোন করে টাকা তুলে নেওয়ার ঘটনার ভিডিও ফুটেজ দিতে দেরি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে একহাত নেওয়ার অভিযোগ আছে আতিউর রহমানসহ পারিষদদের বিরুদ্ধে। সংবাদকর্মীরা অনেকেই জানেন সেই হুংকার দেওয়ার ঘটনাটি! অন্যের বেলায় হুঁশিয়ারি আর নিয়ন্ত্রক সংস্থা নিজের বেলায় হবে স্বেচ্ছাচারী?
সবচেয়ে বড় কথা, একজন ব্যক্তি একটি প্রতিষ্ঠানকে কীভাবে খাদের কিনারায় দাঁড় করাতে পারেন তার উদাহরণ ড. আতিউর রহমান। অতীতে অনেক চেষ্টা করেও, এঘটনার আগ পর্যন্ত, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপরে এভাবে হস্তক্ষেপ চালাতে পারেনি সরকার। স্বায়ত্বশাসিত গুরুত্বপূর্ণ এই প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি মুহূর্তে ধুলোয় লুটিয়ে দেওয়ার কান্ডরীও হলেন তিনি। গভর্নরের মেয়াদ ক’মাস পরই এমনি শেষ হতো। তাঁর জায়গায় আরেকজন আসবেন এটাই স্বাভাবিক রীতি। কিন্তু আতিউর রহমান ইচ্ছে মতো চলতে গিয়ে নিজে সেই অস্ত্র তুলে দিয়েছেন সরকারের হাতে। যার খেসারত বাংলাদেশ ব্যাংক এখন দিচ্ছে এবং আগামীতেও দিতে হবে। অর্থমন্ত্রণালয়ের ছড়ি ঘোরানোর সুযোগ তৈরির পাশাপাশি মানুষের বিশ্বাসে যে চিড় ধরালেন সেটার দায় অস্বীকার করবেন কীভাবে? তা ছাড়া রিজার্ভ ব্যবস্থাপনাই বাংলাদেশ ব্যাংকের একমাত্র কাজ নয়, এর বাইরেও আর্থিক খাতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে কাজ ও নজরদারি করতে হয়। যা এই ডামাডোলে ভীষণভাবে ব্যহত হচ্ছে।
পদত্যাগের পর শিক্ষকতায় ফিরে যাওয়ার কথা বলেছেন গভর্নর। কিন্তু তার কারণে একজন দক্ষ সচিবকে বিনা দোষে ওএসডি হতে হলো। রুদ্ধ হয়ে গেলে সম্ভাবনাময় ভবিষৎ-সম্মানহানী হলো, তার মূল্য কি পরিশোধ করতে পারবেন পদত্যাগী গভর্নর? অর্থমন্ত্রী বলেছেন, ‘এম আসলাম আলমের কোনো দোষ ছিল না, কিন্তু ব্যাংকিং সচিব হিসেবে তার বিষয়টি জানা উচিত ছিল।’ যে আতিউর রহমান অর্থমন্ত্রীকে পাত্তা দেন না, নিয়োগকর্তা হওয়ার পরও কিছু পরোয়া করেন না তিনি জানাবেন সচিবকে? এর চেয়ে হাস্যকর আর কী হতে পারে? তাঁর কাছে সচিব তো নস্যি, নিঃশ্বাসের সঙ্গে উড়ে যায়! অন্যের দোষে যে ক্ষতি হলো সচিবের তার কী হবে? নিজের ভুল স্বীকার না করে কান্নাভেজা কণ্ঠে শুনে অনেকেই ব্যথিত। কিন্তু তারা একবারও কী সচিবের কথা ভেবে দেখেছেন?
রিজার্ভ কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে খনি শ্রমিকের মতো তিলে তিলে ২৮ বিলিয়ন ডলারের উন্নীত করার বিরাট সাফল্যের কথা বলতে ভোলেননি তিনি। ভাবটা এমন যে, দেশে দেশে ঘুরে ঝুলিতে করে ডলার মজুদ গড়েছেন তিনি, বাকিরা কেউ কিচ্ছু করেনি। প্রায় পৌনে এক কোটি প্রবাসীর পাঠানো রেমিট্যান্স এবং তৈরি পোশাকসহ রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণেই বেড়েছে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ। ধারাবাহিকভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে সম্ভাবনাময় এক অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। গেল ক’বছরে প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি না হওয়ায় খাদ্যশস্য আমদানি ছিল তুলনামূলক কম। সঙ্গে টানা দুই বছরে বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য কমতে কমতে অর্ধেকে নেমে আসায় জ্বালানি আমদানিতে ডলার সাশ্রয়ী হয়েছে।
অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে রিজার্ভ, আগামীতে আরো বাড়বে এটাই স্বাভাবিক নিয়ম। যদিও একক কর্তৃত্বের দাবি করতে গিয়ে ড. আতিউর অন্যদের অবদান বলতেই ভুলে গেছেন। বিষয়টা এমন করে ফেলেছেন যে তিনি না থাকলেই রির্জাভ কমতে কমতে নাই হয়ে যাবে। আতিউর রহমানের হিসাবে রেকর্ড ৩০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয়ের একক কৃতিত্ব তো পাওয়া উচিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যানের। এটা কি যৌক্তিক?
তাহলে গেল সাত বছরে গভর্নর হিসেবে ড. আতিউর রহমানের কোনো সাফল্য নেই? নিশ্চয় অনেক সাফল্যই আছে তাঁর। কিন্তু সাফল্যগুলো ধুয়ে-মুছে একাকার হয়েছে রিজার্ভে চুরি নিয়ে লুকোচুরির ঘটনায়। নিজের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে বা সাফল্য ম্লান হয়ে যাবে- এমন ভয়েই যিনি পুরো ঘটনা চেপে রেখেছিলেন, সেই ঘটনা চাপার কারণেই এখন তাঁর সাফল্য তো ম্লান হলোই, ভাবমূর্তিও নষ্ট হলো। অবশ্য তাঁর মেয়াদকালে অনেক বড় কেলেঙ্কারিও ঘটেছে। ভুলে গেলে চলবে না হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, বেসিক ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা চুরি, এটিএম কার্ড জালিয়াতিসহ বড় বড় আর্থিক জালিয়াতি-কেলেঙ্কারি হয়েছে তাঁর মেয়াদকালে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, সংবর্ধনার মাধ্যমে বিদায় না পাওয়ায় আক্ষেপ জানাতে এতটুকু কার্পণ্য করেননি ড. আতিউর। নিজেকে নিয়ে কতটা মশগুল থাকলে এমন পরিস্থিতিতেও সংবর্ধনার কথা ভাবতে পারেন, বলতে পারেন! সত্যিই তো ঘরে আগুন লেগেছে বলে কি পোলাও মাংস খাওয়া বাদ দিতে হবে?
লেখক : সাংবাদিক, যমুনা টেলিভিশন