ইউপি নির্বাচন
জাতীয় ‘প্রহসনের’ গ্রামীণ সংস্করণ
‘ইলেকশনের রকমফের’ নামে একটি নিবন্ধ লিখেছিলাম বেশ কিছুকাল আগে। এতে এরশাদীয় নির্বাচনের গল্প করেছিলাম। একজন জাতীয় পার্টি নেতা আমাকে বলছিলেন, ইলেকশন কত প্রকার ও কী কী? তিনি বলছিলেন- ১. Election for Election অর্থাৎ স্বাভাবিক নির্বাচন। ২. Election for Collection এর মানে হলো- মাস্তানদের দ্বারা ভোট সংগ্রহ। ৩. Election for Selection ফলাফল যাই হোক না কেন, ক্ষমতাশীনরা তাদের মনোনীত প্রার্থীকেই নির্বাচিত করবেন। ৪. Election for Declaration- এর অর্থ ভোট সংগ্রহ, মনোনয়ন ইত্যাদিকে অতিক্রম করে কর্তার ইচ্ছায় কীর্তন করা। ক্ষমতাসীনরা যার নাম ঘোষণা করতে চাইছেন সব রেকর্ডপত্র ঠিক রেখে তার নামই ঘোষণা করা। এখন ক্ষমতাসীনদের বদৌলতে ২০১৪ সাল থেকে ইলেকশনের আর একটি প্রকরণ বেরিয়েছে। ৫. এর নাম Election without Election এর অর্থ নির্বাচন ছাড়াই নির্বাচন। এর তাৎপর্য হলো নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হবে। যথারীতি নির্বাচনী প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হবে। কিন্তু, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষিত হবেন। আর তা যদি কোনো ক্রমে ব্যাহত হয় তাহলে নির্বাচনের দিন ‘নির্বাচন নির্বাচন খেলা হবে’। তবে সর্বসাধারণের পক্ষ থেকে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে! দলীয় ক্যাডাররা ভোট গ্রহণ সম্পন্ন করবেন। কথায় বলে History repeats itself- ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটে।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি একটি জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত ছিল। ক্ষমতাসালীদের সিদ্ধান্ত ছিল নির্বাচন সাংবিধানিকভাবেই সম্পন্ন হবে এবং ওই নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের যেকোনো মূল্যের বিনিময়ে জয় লাভ করতে হবে। ওই সময়ে অনুষ্ঠিত ৫টি সিটিকরপোরেশন নির্বাচনী ফলাফল প্রমাণ করেছিল যে, আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা হারিয়েছে। সুতরাং জনগণের স্বাভাবিক সম্মতি বা ভোটে তাদের জয় লাভ করার কোন সম্ভাবনা নেই। আর বিরোধী বিএনপি মনে করেছিল ক্ষমতা তাদের হাতের মুঠোয় চলে এসেছে। তাদের হাবভাবে ক্ষমতার আভা স্ফূটিত হচ্ছিল। তখন বিএনপির মিছিলে জনতার জোয়ার ছিল। শোনা যায় ওই সময় বিএনপির পদ ও পদবি মূল্যবান ছিল। ক্ষমতাসীনদের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কৌশল সম্পর্কে চিন্তা করতে এবং তদানুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বিরোধীরা ব্যর্থ হয়। ইটটির বদলে পাটকেলটি মারবার শক্তি তাদের থাকলেও তারা ক্ষমতাসীনদের চাতুর্য, মিথ্যাচার এবং রণকৌশলের কাছে পরাজিত হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আলোচনার বাহানা, মন্ত্রিত্বের মূলো এবং নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়ে ‘সাংবিধানিক’ নির্বাচন নিষ্পন্ন করতে সক্ষম হয়।
ওই নির্বাচনে ক) গরিষ্ঠ আসন অর্থাৎ ১৫৩টি আসনে শুধু মাত্র সরকারি দলের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বিন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এটি সরকারি ভাষ্য। গণমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী আরো ১০০ আসনে নামকাওয়াস্তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। খ) দেশি-বিদেশি পরিসংখ্যানে নির্বাচন কেন্দ্রগুলো এক রকম ফাঁকা, কোনো কোনো ক্ষেত্রে শতকরা ৫ জন ভোটারের উপস্থিতি উল্লেখ করলেও ইলেকশন কমিশন শতকরা ২০ জন ভোটারের ‘অবিশ্বাস্য’ উপস্থিতির জাল পরিসংখ্যান দেয়। গ) নির্বাচনকালীন ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় প্রশাসনের সরকারি লোকজন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক এবং আইন শৃংখলা বাহিনী সরকারের পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নেয়। পরবর্তীকালে প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা খোলামেলা এ ব্যাপারে তার নিরঙ্কুশ কর্তৃত্বের দাবি করেন। ঘ) তথাকথিত বিরোধী দলের নায়ককে কীভাবে নাটকীয় কায়দায় বশে আনা হয় তা দেশবাসী দেখেছেন। ঙ) নির্বাচনী আইন কানুন, রীতি-রেওয়াজ, ভদ্রতা-সভ্যতা ইত্যাদি পরিত্যক্ত হয়। প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও, তাকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে দেওয়া হয়নি। প্রার্থী এমপি হতে চান না। কিন্তু, তাঁকে গায়ের জোরে এমপি বানানো হয়েছে। চ) কম সংখ্যক বিরোধী প্রার্থী যারা ‘সরকারি নীল নকশার’ সারথী হতে চাননি তাঁদের মামলা-হামলা, হয়রানি ও কারাগারে প্রেরণ করে নির্বাচন নিরঙ্কুশ করা হয়। ছ) বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক এতিম যারা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা রাখেন না তারা বিপুল ভোটে নৌকায় চড়ে নির্বাচিত হলেন। সব মিলিয়ে এই নির্বাচনের যে চিত্র প্রকাশিত হয়েছে তাকে এক শব্দে জাতীয় নির্বাচনের নামে ‘প্রহসন’ বলে অবিহিত করেছে গণমাধ্যম এবং রাজনীতিকরা। বিদেশি খলনায়কদের আহ্বানে নির্বাচন পরবর্তী আন্দোলন পরিত্যক্ত হয়। সর্বোচ্চ নেতৃত্বের পুনর্নির্বাচনের আশ্বাস মায়ামরিচিকায় পরিণত হয়।
ইতিমধ্যে এই সরকারের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারের আরো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন এবং পৌরসভা নির্বাচনে ‘প্রহসনের’ যথার্থ বাস্তবায়ন লক্ষ করা গেছে। ওই সব নির্বাচনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এবার ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে একই নাটকের পুনরাবৃত্তি হতে যাচ্ছে।এর সাথে একটি বড় সরকারি সফলতা! এই যে, তারা জাতীয় পর্যায়ের প্রহসনকে স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিস্থাপনে সক্ষম হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই প্রথমবারের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন দলীয় পর্যায়ে হতে যাচ্ছে। ব্রিটিশ আমল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ বছর ধরে ওপারে পঞ্চায়েত এবং এপারে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন কমবেশি নিরপেক্ষভাবে, নির্দলীয়ভাবে, নির্বিরোধে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। পঞ্চায়েত এবং আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান দলীয়করণে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গ্রামগঞ্জে ইতিমধ্যে যে, খুনোখুনি, রক্তারক্তি, হামলা-মামলার সৃষ্টি হয়েছে, তা সকল সীমারেখাকে অতিক্রম করেছে।
বিগত কয়েক দিনে একটি প্রধান দৈনিকে এ সম্পর্কিত প্রকাশিত কয়েকটি সংবাদ ও নিবন্ধ শিরোনাম এ রকম- ‘ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ’, ‘বিএনপির ৮ নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী’, ‘ বিনা ভোটে আওয়ামী লীগের ৬৬ চেয়ারম্যান’, ‘ ৩৪টি ইউনিয়নে সরকারি দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনো প্রার্থী’ নেই, ‘সরকার দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে উড়ে এসে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত একজন’, ‘ফুলগাজীর সব ইউপির নির্বাচন বাতিল ’, দ্বিতীয় ধাপের ২৭ ইউপিতে প্রার্থী পায়নি বিএনপি’, ‘বিএনপির কাছে নৌকা বিক্রয়’,‘বাগেরহাটে আগে জান বাঁচা’, ‘ প্রার্থী হতে চাওয়ায় হুমকি, চাপ-’ ‘পরশুরামে বিনা ভোটে আ. লীগের ৩ চেয়ারম্যান’, দ্বিতীয় ধাপের ৬৪৭ ইউপিতে নির্বাচন , ‘১৩টিতে কেবল আ. লীগের প্রার্থী, বিএনপির নেই ৬৩ ইউপিতে’, ‘ইউপি নির্বাচন নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার মত- অতীতের চেয়ে বেশি সহিংসতার আশঙ্কা’, ‘ফেনীর পরশুরামে নির্বাচন মানেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা’, ‘নিজেদের নির্বাচিত ভাবছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। ‘দৌড়-ঝাঁপ নেই, কোলাকুলিও নেই’, ‘আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের সংঘর্ষ ও ভাঙচুর- পাঁচ ইউপিতে আহত ৬৭, ‘আ. লীগ প্রার্থীর মোটর শোভাযাত্রার প্রতিবাদে বিদ্রোহী মানববন্ধন’, ‘তিন খুনের মামলার আসামি আওয়ামী লীগের প্রার্থী’, ‘দল বদল করা নেতারা আওয়ামী লীগের প্রার্থী’, ‘মাঠে থাকা নিয়ে শঙ্কা বিএনপি প্রার্থীদের’, ‘একতরফা ইউপি নির্বাচন- নির্বাচন কমিশনকেই দায় নিতে হবে’। ‘ভোটারদের ভোট দেওয়ার আগ্রহ কমে যাচ্ছে : বিএনপি মাঠ ছাড়া’ । ‘ভোটের আগেই আওয়ামী লীগ লীগের ৬২ চেয়ম্যান।’, ‘১১১ ইউপিতে বিএনপির প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা, ‘রংপুরে বদরগঞ্জে সিপিবি প্রার্থীর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ’, ‘পরশুরামে ভোট স্থগীত হচ্ছে। বাউফলে উপজেলা চেয়ারম্যান যখম’, ‘সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে-আচরণ বিধি লঙ্ঘন’, ‘সংঘর্ষে দুই প্রার্থীসহ আহত ৩১’, ‘প্রথম দফার অভিযোগ আমলে নেয়নি- দায় এড়াচ্ছে ইসি’, ‘সহিংসতা বাড়ছে : গত দুই দিনে নিহত ১-আহত ১৩’. ‘তিনিই (সন্ত্রাসী) আ. লীগের প্রার্থী’, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার গণতন্ত্র’, ‘দ্বিতীয় ধাপের ৬৪৭ ইউপির নির্বাচন- ৩১টিতে শুধু আওয়ামী লীগের প্রার্থী’। (দৈনিক প্রথম আলো, ০১-১৪ মার্চ, ২০১৬)
উপরোক্ত সংবাদ, প্রতিবেদন এবং নিবন্ধ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করলে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রহসনের যে প্রামাণ্য বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয় তা অনুষ্ঠিতব্য ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রক্ষিতে একেবারেই মিলে যায়। জাতীয় নির্বাচনে যে অনিয়ম, অবিশ্বাস এবং অরাজকতা সৃষ্টি করা হয়েছিল সমাগত নির্বাচনে তাই প্রামাণ্য গবেষণা উপাত্ত হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে। এসব তথ্য প্রাণের মাধ্যমে বিশ্লেষকদের অনেক আশঙ্কা সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রথমত ইউনিয়ন পরিষদের মত স্থানীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণের মাধ্যমে গ্রামীণ শান্তি, স্বস্তি এবং স্বকীয়তা বিনষ্ট হয়েছে। ‘....ধীরে ধীরে এর প্রতিষ্ঠান তার সামাজিক গুরুত্ব হারিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলের এজেন্ট হয়ে গেছে।’ (স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ : প্রথম আলো, ৬ মার্চ, ’১৬)।
দ্বিতীয়ত আওয়ামী লীগ দোড়গোড়ায় অর্থাৎ তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দোহাই দিয়ে যা কিছু করছে তাতে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই, বরং দলীয় কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারি নির্যাতন গ্রাম পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। সরকার যেমন বিরোধী রাজনীতিকদের হামলা-মামলা দিয়ে অকার্যকর ও আটক করছে ঠিক তেমনি ইউনিয়ন পরিষদগুলো রাজনৈতিক মামালার মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ের বিরোধী পক্ষকে নির্মূল করতে চাইছে। তৃতীয়ত, তৃণমূল পর্যায়ের এ ধরনের গতি প্রকৃতি প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অবসানের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। চতুর্থত, রাষ্ট্রীয় বিচার ব্যবস্থার ধসের মতো গ্রামীণ পর্যায়ে সালিশ বিচার ব্যবস্থা প্রায় অবসান হয়েছে। নিজ নিজ দলীয় অবস্থান বিচারের মর্যাদা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে।
পঞ্চমত, ১৯৯১ সালের গণতান্ত্রিক বিধি ব্যবস্থার প্রবর্তনের পর নির্বাচনের উপরে মানুষের যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছিল ২০১৪ সালের কৃত্রিম নির্বাচনের পর জাতীয় পর্যায়ে তা বিপর্যস্ত হয়েছে। এখন গ্রামীণ পর্যায়ে ভীতির নির্বাচন চেপে বসায় নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষের নির্ভরশীলতা ক্রমে ক্রমে হ্রাস পাচ্ছে এবং একটা ‘গভীর ভয়াবহ ও সুদূরপ্রসারী’ গণতান্ত্রিক সংকটের দিকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ষষ্ঠত, এখন এউএনডিপি ও ইইউয়ের সহায়তায় অনেক উন্নয়ন প্রকল্প চালিত হচ্ছে। অন্যান্য ভিডিপি, রিলিফ, চল্লিশ দিনের কর্মসূচি ইত্যাদি কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নয়ন যতটা হচ্ছে তার চেয়েও বেশি দুর্নীতির বিস্তৃতি বেড়েছে। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে যেকোনো দেশে তৃণমূল পর্যায়ের উন্নয়ন ত্বরান্নিত হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় বাংলাদেশে শাসককূলের কেন্দ্রীকরণ প্রবণতার ফলে উন্নয়ন, বিকেন্দ্রীকরণ এবং গ্রামীণ মানুষের ক্ষতায়ন ব্যর্থ হচ্ছে। গণতান্ত্রিক ঐতিহ্য মণ্ডিত বাংলাদেশে যেখানে গণতন্ত্র বেগবান হওয়ার কথা সেখানে গণতন্ত্র ব্যাহত হচ্ছে। জাতীয় ‘প্রহসন’ তৃণমূল পর্যন্ত সম্প্রসারিত না হোক এটাই জনগণের প্রত্যাশা।
ড. আবদুল লতিফ মাসুম : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।