‘প্রবাসে ভাবমূর্তি উজ্জ্বলে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে’

‘প্রবাসে অবস্থান করা বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সাংবাদিকদের এগিয়ে আসতে হবে। সংবাদ লেখার আগে অবশ্যই ভাবতে হবে যেন,লেখার মাধ্যমে সেদেশের সরকার এবং আমাদের সরকার তথা বাংলাদেশিদের যেনো ক্ষতি না হয়। একজন প্রবাসীর অপেক্ষায় আছে একটি পরিবার। এমন সংবাদ প্রকাশ করতে হবে যেনো তাদের পরিবার যেনো চিন্তা মুক্ত থাকে।’
গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের সঙ্গে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকগণ হচ্ছেন জাতির জাগ্রত বিবেক। আর সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের দর্পণ, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। তাই সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকতা দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গল বয়ে আনে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, হাইকমিশনের শ্রম কাউন্সিলর মো. জহিরুল ইসলাম, কাউন্সিলর (শ্রম ২) মো: হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, শ্রম শাখার দ্বিতীয় সচিব ফরিদ আহমদ।
সংবাদের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তুলে ধরে হাইকমিশনার মহ.শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘সংবাদ সাজানোর বা উপস্থাপনার ক্ষেত্রে তথ্যের সত্যতা, শব্দ প্রয়োগ এবং বস্তুনিষ্ঠতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। দিন চলে যাবে সংবাদের শব্দগুলি বাসি হতে পারে কিন্তু সংবাদের আবেদন অন্তরের গভীরে রয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভের যারা প্রতিনিধিত্ব করছেন তাদের রাষ্ট্রের প্রতি দায় দায়িত্ব অনেক বেশি। এ দায় শোধ করতে হয় জনগণকে বিভ্রান্ত না করে, সার্বভৌম ক্ষতি না করে, নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করে এবং শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রেখে তাহলেই উত্তম সাংবাদিক হওয়া যায়।’ তিনি সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বা দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে খুব সচেতনতার সাথে উপস্থাপন করার অনুরোধ করেন। তিনি মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘সকল সম্পর্কে চিড় ধরবে যদি সংবাদে এমন তথ্য প্রকাশ করা হয় এর ফলে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারি বাংলাদেশের নাগরিকরা বিপদে পড়তে পারেন। প্রবাসে থেকে সংবাদকর্মী হওয়া খুব কঠিন কাজ। অন্তরের টান না থাকলে তা সম্ভব নয়। দেশে রেমিটেন্স পাঠানো আর আশাবাদী সংবাদ দেশে পাঠানো প্রায় অনুরূপ অর্থ বহন করে। কারণ আশাবাদী সংবাদে দেশে থাকা মা বাবা ভাই বোন সান্ত্বনা পায়। অপরদিকে মিথ্যা বা অতিরঞ্জিত বা সত্যের বিকৃতি মানুষের মাঝে হতাশা ও বিভ্রান্তি ছড়ায়। এসব ক্ষতি করে সমাজের।’