সৌদি আরবে নির্যাতিত সুমি দেশে ফিরতে চান, প্রয়োজন ৫ লাখ টাকা
সৌদি আরবে নির্যাতিত সুমি আক্তার (২৬) দেশে ফিরতে চান। তবে দেশে ফিরতে সুমি আক্তারের প্রয়োজন পাঁচ লাখ টাকার।
সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হওয়া সুমি সামাজিক মাধ্যমে নিজের কষ্টের কথা জানান, যা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পাশাপাশি এ নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত সোমবার সৌদি আরবের জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের সহযোগিতায় জেদ্দা শহর থেকে এক হাজার মাইল দূরে নাজরান এলাকা থেকে স্থানীয় পুলিশ সুমি আক্তারকে উদ্ধার করে। গৃহকর্মী সুমি আক্তারকে দেশে ফেরাতে হলে তাঁর সৌদি নিয়োগকর্তাকে ২২ হাজার সৌদি রিয়াল (চার লাখ ৯৫ হাজার টাকা) পরিশোধ করতে হবে। সুমি আক্তারকে উদ্ধার করে বর্তমানে একটি সেফহোমে রাখা হয়েছে।
এদিকে, জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের শ্রম কল্যাণ উইংয়ের প্রথম সচিব কে এম সালাহ উদ্দিনের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, সুমির নিয়োগকর্তার সঙ্গে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কথা হয়েছে। সুমির নিয়োগকর্তা জানিয়েছে, সুমি আক্তারকে সৌদি আরবে নিতে ২২ হাজার সৌদি রিয়াল খরচ হয়েছে এবং তিনি নিয়মিত সুমিকে বেতন-ভাতা ও পরিশোধ করছিলেন।
নিয়োগকর্তাকে ২২ হাজার সৌদি রিয়াল এবং বিমান টিকেটের টাকা পাওয়া গেলে সুমিকে দেশে পাঠানো সম্ভব। নিয়োগকর্তা এবং বিমান টিকেটের টাকায় সুমিকে সৌদি আরবে পাঠানো মেসার্স রুপসী বাংলা ওভারসিজের (রিক্রুটিং লাইসেন্স নং ১১৬১) কাছ থেকে আদায় করার জন্য জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সৌদি নিয়োগকর্তার টাকা পরিশোধের পর বিমান টিকেট পাওয়া গেলে নিশ্চিত হবে কবে নাগাদ সুমি দেশে ফিরতে পারবেন।