তিন সন্দেহভাজন ইন্দোনেশিয়ানকে সনাক্ত করেছে মালয়েশিয়া পুলিশ
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/09/16/photo-1568654622.jpg)
মালয়েশিয়ায় মো. শামীম (৩৩) নামের এক বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিককে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত রেছেন কুয়ালালামপুরের তদন্ত কর্মকর্তা।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের পার্শ্ববর্তী সেগামবুট এলাকায় রোববার সকালে একটি প্রাইভেটকারের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় নিহত বাংলাদেশি মো. শামীমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত শামীমের মুখ, হাত ও পেটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। রোববার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুয়ালালামপুর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পাসপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, তিনি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মূলচরের আকাল মেঘ এলাকার মো. মুকলেস সোয়াল ও ফাতেমা বেগমের ছেলে। শামীমসহ চার ভাই বেশ কিছুদিন ধরে মালয়েশিয়ায় বসবাস করতেন।
ভাইদের দাবি, শামীম দীর্ঘদিন ধরে একটি কোম্পানিতে সুপারভাইজারের কাজ করছিলেন। সেখানে তাঁর অধীনে বেশ কিছু সংখ্যক ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক কাজ করতেন। কাজে বাকবিতণ্ডা হতো নিয়মিত। রোববার সকালের দিকে শামীমকে কিছু লোক অপহরণ করে নিয়ে যায়। তার কিছুক্ষণ পর খবর পান, শামীমকে ওই দুর্বৃত্তরা হত্যা করে একটি প্রাইভেটকারের মধ্যে রেখে যায়। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে শামীমের পরিবার।
এদিকে কুয়ালালামপুর বাংলাদেশ হাইকমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
এ ঘটনার আগে ২৮ আগস্ট আলামিন (২০) নামের এক বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মালয়েশিয়ার কেলানতানের গোয়া মোসাং শহরের সেনডোরপ লোজিংয়ের একটি সবজি ক্ষেতে কর্মরত অবস্থায় তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কুয়ালালামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দাতুক সেরি মজলান। এ বিষয়ে যদি কারও কোনো তথ্য জানা থাকে তাহলে সিনিয়র ইনভেস্টিগেটর অফিসার খায়রুলের ০১৯-২৭৬৯১১৭ নম্বরে অথবা কুয়ালালামপুর পুলিশ লাইনের ০৩-২১৪৬ ৯৯৯৯ নম্বরে বা নিকটবর্তী কোনো থানায় যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
শামীম মালয়েশিয়া প্রবাসীদের খুব প্রিয় মুখ ছিল। প্রবাসীদের সাথে তাঁর ভালো সম্পর্ক ছিল। মালয়েশিয়া প্রবাসী মুন্সীগঞ্জের সন্তান আবু তালেব মোল্লা বলেন, আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। বাংলাদেশ হাইকমিশন যেন দ্রুত তদন্ত করে। আর যেন কোনো প্রবাসী বাংলাদেশি এই ভাবে নির্মম হত্যার শিকার না হয় সেই ব্যাপারে মালয়েশিয়া প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।