আপনার জিজ্ঞাসা
জাহাজে দীর্ঘ সফরে থাকলে কি কসর নামাজ পড়তে হবে?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ১৯২৭তম পর্বে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণরত অবস্থায় কসর নামাজ আদায় করতে হবে কি না, সে সম্পর্কে ই-মেইলে জানতে চেয়েছেন জাহিদ হাসান। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।
প্রশ্ন : আমি জাহিদ হাসান। পেশায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার। মেরিনার হওয়ায় আমাকে সমুদ্রে জাহাজে করে সারা বিশ্ব ভ্রমণ করতে হয়। কিন্তু যখন আমি সমুদ্রযাত্রা করি, এক দেশ থেকে আরেক দেশে পৌঁছাতে আমার ২০ থেকে ৪০ দিন সময় লাগে। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, এ সময় আমি কি নামাজ কসর করব নাকি সাধারণভাবেই নামাজ আদায় করব?
উত্তর : যত দিন পর্যন্ত আপনি জাহাজে থাকবেন, তত দিন আপনি মুসাফির অবস্থায় থাকবেন এবং তত দিন পর্যন্ত আপনি কসর করতে পারেন। এতে অসুবিধা নেই। আপনার জন্য এই কসর করা বৈধ, যেহেতু আপনি মুসাফির অবস্থায় থেকে যাচ্ছেন। কারণ আপনি সুনির্দিষ্ট কোনো গন্তব্যে যাচ্ছেন না। সাগরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ২০ থেকে ৪০ দিন। সুতরাং এ অবস্থায় সব সময় আপনি মুসাফির হিসেবে থাকবেন, আপনার জন্য কসর করা বৈধ।
যেমনিভাবে কসর করা বৈধ, ঠিক তেমনিভাবে দুই ওয়াক্ত সালাত একসঙ্গে আদায় করাও আপনার জন্য বৈধ। জোহর ও আসর আপনি একসঙ্গে আদায় করতে পারবেন। মাগরিব ও এশা আপনি একসঙ্গে আদায় করতে পারবেন। যদি মনে করেন যে কাজের ব্যস্ততার কারণে হয়তো সুযোগ পাবেন না, আপনি একসঙ্গে আদায় করতে পারেন। দুটিই আপনার জন্য বৈধ।