বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছে কমিশনের কর্মচারী-কর্মকর্তারা। আজ বুধবার (৫ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বিএসইসি ভবনের মূল ফটকের সামনে রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা।

আজ বিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের ফ্লোর পঞ্চম তলা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এক পর্যায়ে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে যৌথবাহিনী। পরে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা নিরাপদে বের করে দেন।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা বলেন, আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে বিএসইসি চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের ফ্লোর পঞ্চম তলা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছেন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে যৌথবাহিনী আসে। প্রথমেই কর্মচারী-কর্মকর্তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে যৌথবাহিনী। তবে, তাদের ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। ফলে লাঠিচার্জ করা হয় বলে জানিয়েছে যৌথবাহিনী।

বর্তমান কমিশন নিয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা রয়েছে জানিয়ে বিক্ষোভকারী আরেক কর্মকর্তা বলেন, হতাশার অন্যতম কারণ বিএসইসির কমিশনারদের খারাপ আচরণ এবং এলোমেলো সিদ্ধান্ত। এ ছাড়া ১২ কোম্পানির তদন্তের আলোকে ইতোমধ্যে এলোমেলো শোকজ করা। সব মিলিয়ে বৈরী পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিএসইসিতে। তিনি বলেন, গতকাল মঙ্গলবার নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর আদেশ জারির পর পরিস্থিতি খারাপ অবস্থায় যায়। তাই বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানা গেছে, বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসর দিয়েছেন রাশেদ মাকসুদ কমিশন। একইভাবে আরও কয়েকজনকে এই অবসর দেওয়ার পরিকল্পনা করে রেখেছে খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। যা নিয়ে বিএসইসির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভিতরে ক্ষোভ তৈরী হয়েছে।