অস্ট্রেলিয়াকে পাত্তাই দিল না ইংল্যান্ড

বল হাতে দারুণ করেছে ইংল্যান্ড। ক্রিস জর্ডানদের দাপুটে বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়াকে অল্পতেই থামিয়ে দেয় ইংলিশরা। বোলিংয়ের পর ব্যাটিংয়েও চমক দেখাল তারা। মাত্র ৩২ বলে ৭১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেললেন জস বাটলার। দুই বিভাগের নৈপুণ্যে অস্ট্রেলিয়াকে হেসেখেলে হারাল ইয়াং মরগানের দল।
আজ শনিবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে আট উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজ দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৫ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন অ্যারন ফিঞ্চ।
জবাব দিতে নেমে ৫০ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ১২৬ রানের ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে একেবারেই বেগ পেতে হয়নি ইংলিশদের। জস বাটলার ও জেসন রয়ের ওপেনিং জুটিতেই জয়ের ভিত গড়ে নেয় তারা। শুরুর জুটিতে স্কোরবোর্ডে ৬৬ রান তোলে তারা। এরপর ২২ রানে বিদায় নেন রয়।
তবে সতীর্থ ফিরলেও টিকে ছিলেন বাটলার। তাঁর ব্যাটে চড়েই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইয়াং মরগানের দল। বাটলারের ৭১ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল সমান পাঁচটি করে বাউন্ডারি ও ছক্কা দিয়ে। এ ছাড়া ৮ রান করেছেন ডেভিড মালান। আর জনি বেয়ারস্টো করেছেন ১৬ রান।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ২১ রানের মধ্যেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। একে একে বিদায় নেন ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, মার্কোস স্টয়নিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ওয়ার্নারকে ফাঁদে ফেলেন ক্রিস ওকস। ২ বলে ১ রান করেন ওয়ার্নার, ৭ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। পরের ওভারে স্মিথকে নিজের শিকার বানান ক্রিস জর্ডান। এখানেও ক্যাচ ধরে ভূমিকা রাখেন ওকস। স্মিথও বিদায় নেন ১ রানে।
দুই টপ অর্ডারের বিদায়ের পর দায়িত্ব নিতে পারলেন না ম্যাক্সওয়েলও। তাঁকে এলবির ফাঁদে ফেলেন ওকস। ৬ রানে বিদায় নেন ম্যাক্সওয়েল। রানের খাতা খোলার আগে স্টয়নিসকে আউট করেন আদিল রশিদ। দ্রুত চার উইকেট হারানোর পর খুব চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
মাঝে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন অ্যারন ফিঞ্চ ও ম্যাথু ওয়েড। কিন্তু এই উইকেট জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৩০ রানে ওই জুটি ভাঙেন লিভিংস্টোন। ১৮ রান করে সাজঘরে ফেরেন ম্যাথু ওয়েড।
সতীর্থদের আশা-যাওয়ার মিছিলে উইকেটে টিকে ছিলেন কেবল অধিনায়ক ফিঞ্চ। ওপেনিংয়ে নেমে ১৮.১ ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন তিনি। তবে একা লড়াই করে রানের গতি খুব বেশি বাড়াতে পারেননি ফিঞ্চ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ১২৫ রানে থেমে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৪৯ বলে চার বাউন্ডারিতে ৪৪ রান করেন অধিনায়ক ফিঞ্চ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২০ রান করেন অ্যাস্টন অ্যাগার।
ইংল্যান্ডের হয়ে বল হাতে ১৭ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন জর্ডান। ২৩ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেন ক্রিস ওকস।