আরো ১০০ রান হলে চিত্রটা ভিন্ন হতো : মুমিনুল
চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনই জয়ের পথ অনেকটা সহজ করে রেখেছিল পাকিস্তান। স্রেফ ৯৩ রান দূরে থেকে গতকাল চতুর্থ দিন শেষ করে সফরকারীরা। আজ টেস্টের শেষ দিনের প্রথম সেশনেই তারা তুলে নেয় এই রান। আট উইকেটের বড় জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাবর আজমের দল।
ম্যাচের প্রথম দিকে কিছুটা আশা জাগালেও পরে লড়াই জমাতে পারেনি বাংলাদেশ। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিভাগ ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। শুধুমাত্র লিটন দাস ছাড়া ব্যাটিং বিভাগে কেউই আলো ছড়াতে পারেননি। বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুলের আক্ষেপও ব্যাটিংয়ে নিয়ে। পরপর দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হওয়া মুমিনুল জানালেন, আরো অন্তত ১০০ রান হলে গল্পটা ভিন্ন হতে পারতো।
ম্যাচ শেষে মুমিনুল বলেছেন, ‘(দ্বিতীয় ইনিংসেও) উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিল। আমরা যদি ১০০ রান বেশি করতে পারতাম তাহলে খেলাটির চিত্র ভিন্ন হতে পারতো।’
হারের কারণ নিয়ে মুমিনুলের ভাষায়, ‘আমার মতে, দুই ইনিংসেই প্রথম ঘণ্টায় আমরা ম্যাচটি হেরে গেছি। প্রথম ইনিংসে মুশফিক ও লিটন খুব ভালো খেলেছে। তারা দারুণ জুটি গড়েছে। আমার মতে প্রথম চার ব্যাটারকে এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের শক্তির জায়গা ব্যাটিং। এই জায়গায় উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে নতুন বলের বিপক্ষে। তবে হাসান আলি ও শাহিন আফ্রিদিও ভালো বোলিং করেছে।’
আজ মঙ্গলবার টেস্টের শেষ দিনের প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। দুই ইনিংসে দুর্দান্ত করে ম্যাচসেরা হয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার আবিদ আলী। প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করা আবিদ দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেছেন ৯১ রানের ইনিংস।
টেস্টের চতুর্থ দিনই ম্যাচের লাগাম টেনে ধরেছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে গতকালই জয়ের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল সফরকারীরা। আজ মাঠে নেমে প্রথম সেশনে নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। বাংলাদেশ দুটি উইকেট তুলে নিলেও পাকিস্তানের জয় আটকাতে পারেনি।
জয়ের কাজটা সহজ করে যান আবিদ ও শফিক। একজন ৯১ রান করে ফেরেন। আর শফিক ফেরেন ৭৩ রান করে। এরপর আজহার আলী করেন ২৪ রান আর বাবর আজম করেন ১৩ রান।