তাঁর নাম ছিল ‘এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্টো’
বিখ্যাত আবিষ্কারক টমাস আলভা এডিসনের সঙ্গে মিলিয়ে বাবা নাম রাখেন ‘এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্টো’। কিন্তু এ নামে তাঁকে যেন কেউ চিনতেই পারছেন না। যদি বলা হয় ‘পেলে’, তাহলে আর কোনো বিশেষণ বা ব্যাখ্যার প্রয়োজন পড়ে না। এক কিংবদন্তির ছবি সঙ্গে সঙ্গেই ভেসে ওঠে কল্পনাতে।
ছোট বেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি বাড়তি আকর্ষণ ছিল পেলের। একটু সময় পেলেই পাড়ার ছেলেদের সাথে মেতে উঠতেন ফুটবলে। একটা সময় পড়াশুনার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের জন্য জুতো সেলাই ও জুতোতে কালি করার কাজও তাঁকে করতে হয়েছে। তবে যাই হোক, তাঁর নাম ছিল ‘এডসন’ এবং সকলে সে নামেই তাকে ডাকত।
পেলের চাচা জর্জের বরাত দিয়ে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মার্কা বলেছে, ‘ছোটবেলায় খেলা শেখার জন্য ‘এডসন’কে এক গোলরক্ষকের কাছে রেখে আসা হয়। যখন সে দুর্দান্ত ভঙ্গিমায় গোল সেভ করতো তখন অনেকে তাঁকে ওইসময়ের বিখ্যাত গোলরক্ষক বিলের সঙ্গে তুলনা করতেন। ধীরে ধীরে বিলে থেকে ‘পেলে’ তে রূপ নেয় ‘এডসন আরান্তেস’।’
তবে নিজেকে ‘পেলে’ বলে ডাকা পছন্দ করতেন না এই কিংবদন্তি। বাবার দেওয়া নাম নিয়েই খুশি ছিলেন তিনি। এক সাক্ষাৎকারে পেলে বলেছেন, ‘আমি আমার হৃদয়ে দুইজন মানুষকে রেখেছি। এক ‘এডসন আরান্তেস’—যে আত্মীয়-স্বজন এবং কাছের মানুষের পরিচিত, আরেক ‘পেলে’—যে শুধুই ফুটবল খেলোয়াড়।
বৃহস্পতিবার রাতে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৮২ বছর বয়সী পেলে। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর ক্যানসার আক্রান্ত পেলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে ব্রাজিলের সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।