‘ফাইনালটা উপভোগ করুক ছোট ভাইরা’
যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ দল। শরিফুল ইসলাম ও অভিষেক দাসের দুর্দান্ত বোলিংয়ে মাত্র ১৭৭ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয় ভারত। বাংলাদেশের যুবাদের সাফল্য দেখতে উদগ্রীব বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও।
নিজের ফেসবুক পেজে এক স্ট্যাটাসে মাশরাফি লিখেছেন, ‘প্রত্যাশা থাকেই, থাকবেই। ১৯ বছরে এগুলো ভাবার সময় কোথায়? চাপ নয়, ফাইনালটা উপভোগ করুক ছোট ভাইয়েরা।’ এর পরই তিনি ইংরেজিতে লিখেছেন ,‘প্রাউড টু বি আ বাংলাদেশি।’
এদিকে দারুণ বোলিং ভারতকে ১৭৭ রানে আটকে ফেলে বাংলাদেশের যুবারা। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৮ রান করেন ওপেনার জয়সাল।
টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। আঁটসাঁট বোলিংয়ে শুরুটা দারুণ করেন বাংলাদেশের বোলাররা। শুরু থেকেই দুই ওপেনার জয়সাল ও দিব্যানশ সক্সেনার পরীক্ষা নেন শরিফুল-সাকিব। চমৎকার মেডেন দিয়ে ইনিংসের শুরু করেন শরিফুল। দ্বিতীয়টিও মেডেন ওভার করেন সাকিব।
প্রথম ১০ ওভারে ৪৯টি ডট বল খেলে মাত্র ২৩ রান নেয় ভারত। এর মধ্যেই প্রথম উইকেট তুলে নেন অভিষেক দাস। ৬.৪ ওভারে ফিরিয়ে দেন সাক্সেনাকে। ফেরার আগে ১৭ বল খেলে দুই রান করেন ভারতীয় ওপেনার।
এরপর অবশ্য দ্বিতীয় উইকেটে তিলক ভার্মাকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন যশস্বী জয়সাল। দুজন মিলে গড়েন ৯৪ রানের জুটি। ২৯ ওভারে সেই প্রতিরোধ ভাঙেন তানজিম হাসান সাকিব। ওভারের শেষ বলে সাকিবের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে শরিফুলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিলক ভার্মা। ফেরার আগে ৩৮ রান করেন তিনি, সাকিব পান নিজের প্রথম শিকার।
ভারতীয় শিবিরে তৃতীয় আঘাত হানেন রাকিবুল হাসান। ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়ম গার্গকে সাজেঘরে পাঠিয়ে নিজের প্রথম উইকেট তুলে নেন রাকিবুল। বাঁ-হাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল মোকাবিলা করতে গিয়ে কাভারে ক্যাচ তুলে দেন প্রিয়ম। ফেরেন সাত রানে, ভারত হারায় তৃতীয় উইকেট।
তবুও টিকে ছিলেন জয়সাল। ধীরে ধীরে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ভারতকে। ৩৯.৫তম ওভারে জয়সালের প্রতিরোধ ভাঙেন শরিফুল। ১২১ বলে ৮৮ রান করে ফেরেন ভারতীয় ওপেনার। পরের বলে ভীরকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। ১৫৬ রানে পাঁচ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর অবশ্য বেশিদূর যায়নি ভারতের ইনিংস। আগুন ঝরানো বোলিংয়ে ভারতকে চেপে ধরেন শরিফুল-অভিষেকরা। ফলে ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ রানে থামে ভারতের ইনিংস।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৪০রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন অভিষেক দাস। সমান দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল-সাকিব। ২৯ রান দিয়ে রাকিবুল হাসান নেন একটি।