বাংলাদেশের কন্ডিশন থেকে শিখতে চায় কিউইরা
উপমহাদেশের বাইরের দেশগুলো বাংলাদেশ সফরে এলে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা দিতে হয় কন্ডিশন নিয়ে। অস্ট্রেলিয়ার মতো দলও বাংলাদেশের হোম কন্ডিশনে ধোঁয়াশায় পড়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশ সফরে সাকুল্যে একটি জয় নিয়ে ফিরতে পেরেছে অসিরা।
অস্ট্রেলিয়ার পর এবার বাংলাদেশের কন্ডিশনে পরীক্ষা দেবে নিউজিল্যান্ড। কন্ডিশন বুঝেশুনে নিতে হাতে কয়েক দিন সময়ও পাচ্ছে কিউইরা। এই সময়ে বাংলাদেশের কন্ডিশন থেকে শিক্ষা নিতে চায় সফরকারীরা। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের তরুণ অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র।
শুধু বাংলাদেশের কন্ডিশন নয়, এখানকার খেলোয়াড়েরাও যে বিশ্বমানের, সেটা অকপটে স্বীকার করলেন রবীন্দ্র। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘তারা (বাংলাদেশ) খুব ভালো দল। বেশ কিছু বিশ্বমানের খেলোয়াড় রয়েছে—সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর, মুস্তাফিজ। এই কন্ডিশনে তারা কীভাবে মানিয়ে নেয়, সেটা দেখে আমাদের শেখার আছে।’
এরপর রবীন্দ্র বলেন, ‘অবশ্যই এটা একটু অচেনা কন্ডিশন। নিউজিল্যান্ডে আমরা যেমন পাই, সেটির চেয়ে ভিন্ন। এই কন্ডিশন ও তাপমাত্রার সঙ্গে একটু মানিয়ে নিতে হবে। অনেক কিছু আলাদা এখানে। পিচ অনেক টার্ন করবে, বল থমকে আসবে। আমাদের জন্য তাই দারুণ চ্যালেঞ্জ হবে এটি। আগামী কয়েক দিনে এখানে মানিয়ে নেওয়া এবং নিজেদের পরিকল্পনা সাজিয়ে নিতে হবে। অনেক সোজা ব্যাটে খেলতে হবে এখানে। একটু বুঝে ব্যাট করতে হবে। এখানে হয়তো ওভারপ্রতি ছয় রান করে তুলতে পারলেই তা হবে ভালো। নিউজিল্যান্ডে যেটা ওভারপ্রতি আট বা দশ। আমাদের রান করার প্রত্যাশা হয়তো এখানে একটু কমাতে হবে। উইকেটে গিয়ে বুঝতে হবে, কেমন রান করতে চাই আমরা। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজে যা দেখেছি, ১৩০ রান হয়তো এখানে জয়ের মতো স্কোর।’
কোয়ারেন্টিন শেষে গতকাল থেকে অনুশীলনে নেমে পড়েছে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। অনুশীলন চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দুদলের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ১ সেপ্টেম্বর (বুধবার)। পরের চারটি ম্যাচ হবে যথাক্রমে ৩, ৫, ৮ ও ১০ সেপ্টেম্বর। সবগুলো ম্যাচই হবে দিবারাত্রির। ম্যাচগুলো হবে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ম্যাচগুলো শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায়।