বিধ্বস্ত গার্দিওয়ালা বললেন, ‘হয়তো আমি ভালো কোচ নই’
সবদিক থেকে এগিয়ে থেকেও ডাগআউটে দাঁড়িয়ে শিষ্যদের পরাজয় দেখা—এর চেয়ে কষ্টকর দৃশ্য একজন কোচের আর কী হতে পারে? পেপ গার্দিওয়ালাকে ছুঁয়েছে সেই কষ্টটা। প্রথম লেগ জয়ের সুবিধা থাকার পরও সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর জাদুর কাছে হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হলো গার্দিওয়ালার ম্যানচেস্টার সিটিকে।
গেল আসরেও ফাইনাল থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হয়েছে ম্যানসিটিকে। এবার তো ফাইনালে ওঠাই হলো না। হতাশায় বিধ্বস্ত গার্দিওয়ালা। ফাইনালে না ওঠায় হৃদয় ভেঙেছে তাঁর। হারের ক্ষত নিয়ে তাঁর উপলব্ধি—হয়তো নিজেই ভালো কোচ হয়ে উঠতে পারেননি।
চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে ছিটকে যাওয়া ম্যানসিটির পরীক্ষা এখন নিজেদের লিগে। সেখানেও চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তাদের জন্য। কারণ, এখানেও তাদের লড়াই করতে হবে পয়েন্ট টেবিলে শিরোপার লড়াইয়ে থাকা আরেকটি দল লিভারপুলের বিপক্ষে। তাই জয়ই শেষ কথা ম্যানসিটির।
এই লক্ষ্য নিয়ে আজ রোববার রাতে নিউক্যাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে মাঠে নামবে ম্যানসিটি। ম্যাচের আগে সংবাদ চ্যাম্পিয়নস লিগের পরাজয় নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সম্মেলনে গার্দিওয়ালা বলেন, ‘আমরা যে অনুভূতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছি,কোনো কথায় আসলে এখানে কোনো কাজ হবে না। এখানে প্রয়োজন সময় নেওয়া, যতটা ভালো সম্ভব ঘুমিয়ে নেওয়া এবং নতুন লক্ষ্য নিয়ে ভাবা।’
এরপর ক্লাবটির কোচ হতাশা নিয়ে বলেন, ‘হয়তো দলকে এটা অর্জনে সহায়তা করার মতো যথেষ্ট ভালো আমি নই। অন্য কোনো ম্যানেজার বা অন্য ফুটবলারদের নিয়ে দল গড়া হলে কী হতো,কে জানে! আমাদের জন্য প্রতিটি টুর্নামেন্টে নিজেদের মেলে ধরতে পারাই অনেক সম্মানের।’
তবে আজ শিষ্যদের সঙ্গে কথা বলবেন গার্দিওয়ালা, ‘ছেলেদের এটা (চ্যাম্পিয়নস লিগের পরাজয়) ভুলতে হবে না। ছেলেরা কীভাবে এটা ভুলবে ? নিউক্যাসলের বিপক্ষে মাঠে নেমেও এটা সবার মাথায় থাকবে। তবে, আমার ফুটবলারদের আমি চিনি,ট্রেনিং সেশন, মিটিং থেকে আমি ওদের দেখি যে ওদের নিবেদন কতটা। এটা নিয়ে আমার কোনো সংশয় নেই।’