বিদেশি ক্রিকেটারদের তুলনায় প্রতিবারই বিপিএলে বাংলাদেশিদের পারিশ্রমিক কম থাকে। টুর্নামেন্টের শুরুতেই নিজেদের পারিশ্রমিক নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। গতকাল টুর্নামেন্ট শেষেও আরেক দফা হতাশার কথা শোনা গেল তাঁর মুখে। আগামী বিপিএলে আরো বেশি পারিশ্রমিক আশা করেন এই উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আর্থিক ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত হয় এবারের বিপিএল। দল-মালিক সবই ছিল ক্রিকেট বোর্ডের। তাতে কোনো পুরস্কার কিংবা বাড়তি কোনো লাভ হয়নি ক্রিকেটারদের। ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটাররা বিক্রিও হয়েছেন কম দামে। সবকিছু মিলিয়ে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই পারিশ্রমিক নিয়ে আক্ষেপ ছিল ক্রিকেটারদের। যেটা শুরুর দিকে একবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন মুশফিক।

গত ছয় আসরের সঙ্গে পার্থক্য খুঁজলে পারিশ্রমিকটাই বেশি চোখে পড়ে মুশফিকের। গতকাল আসরের ফাইনালে রাজশাহীর কাছে হেরে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয় খুলনার। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মুশফিক জানালেন পুরো বিপিএলের মান নিয়ে।

মুশফিক বলেন, ‘পার্থক্য যদি বলেন (অন্যবারের সঙ্গে), শুধু পারিশ্রমিকে পার্থক্য। এ ছাড়া তো আর (কোনো পার্থক্য) দেখি না। মান তো ভালো। আইপিএলের পর এটি বিশ্বের সেরা লিগগুলোর একটি। এখানে অনেক বড় বড় ক্রিকেটার খেলেন। বিশ্বমানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেলে আমাদেরও অনেক উন্নতি হয়েছে। এবার উইকেটগুলো ভালো ছিল। স্থানীয় ক্রিকেটাররা ভালো খেলেছে। সব মিলিয়ে ইতিবাচক দিক অনেক আছে। পরের মৌসুম থেকে যদি আমাদের পারিশ্রমিক বেড়ে যায়, তাহলে আরো ভালো হবে।’

এর আগে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে গত ১১ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সামনে মুশফিক বলেন, ‘আমরা সবসময় প্রত্যাশা মতো পারিশ্রমিক পাই না। এবার তো অনেক তাড়াতাড়ি সবকিছু হয়েছে। ভাগ্য ভালো এবার খেলাটা হচ্ছে। সেটাই অনেক। আমরা নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, তাঁরা সেভাবে আশ্বস্ত করেছেন। পরেরবার থেকে বেতন বা ভাতা আমরা ঠিকঠাক পাব বলে আশা করি। আমরা সারা বছর খেলি, তারপরও দেখা যায়, যারা শুধু টি-টোয়েন্টি খেলে, তাদের অনেকের তুলনায় আমরা কম পারিশ্রমিক পাচ্ছি। এটা আমাদের জন্য ডিসক্রেডিট। বিশ্বের সব লিগে কিন্তু লোকাল খেলোয়াড়রা বেশি পারিশ্রমিক পান।’