ভারতের কাছে পাত্তা পেলেন না জাহানারা-সালমারা
২০১৮ সালের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে দুবারের দেখাতেই জিতেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। টুর্নামেন্টের ফাইনালে এই ভারতকে হারিয়েই এশিয়া কাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তবে টি-টোয়েন্টির মঞ্চে পারলেও ওয়ানডে বিশ্বকাপের লড়াইয়ে ভারতের সামনে টিকতে পারলেন না সালমা-জাহানারারা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিশ্বকাপে ভারত বধ করতে পারল না বাংলাদেশ।
আজ মঙ্গলবার নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ১১০ রানে হেরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টে মাত্র একটি জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সেটা ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে।
শক্তি-সামর্থ্য বিবেচনায় বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। মাঠের লড়াইয়েও সেটাই দেখা গেল। বোলিংয়ে যদিও কিছুটা ছাপ রাখতে পেরেছে বাংলাদেশ কিন্তু ব্যাটিংয়ে সেটা দেখা গেল না।
বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২২৯ রান করেছে ভারত নারী দল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেছেন যষ্টিকা ভাটিকা। জবাব দিতে নেমে ১১৯ রানে থেমেছে বাংলাদেশ।
হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে বাংলাদেশ সময় সকাল ৭টায় শুরু হও ম্যাচটিতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত শুরু করে ভারত। প্রথম জুটিতেই স্কোরবোর্ডে ৭৪ রান তোলে তারা। অবশেষে স্মৃতি মান্দানাকে ফিরিয়ে প্রথম সাফল্য এনে দেন নাহিদা। তার শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ধর পড়েন স্মৃতি। ৩০ রানে থামে ভারতীয় ওপেনারের প্রতিরোধ।
পরের ওভারেই শেফালি ভার্মা ও মিতালি রাজকে তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে উচ্ছ্বাসে ভাসান রিতু মনি। প্রথমে ওপেনার শেফালির প্রতিরোধ ভাঙেন শেফালি। এরপর তুলে নেন ভারতীয় অধিনায়ক মিতালি রাজকে। দ্রুত তিন উইকেট হারিয়েও ভালোই প্রতিরোধ গড়ে ভারত। যষ্টিকা ভাটিকা তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। তাঁর শক্ত ইনিংস ও শেষ দিকের ব্যাটারদের ওপর ভর করে নির্ধারিত ওভারে ২২৯ রানের পুঁজি পেয়েছে ভারতীয় নারীরা।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ১০ ওভার বোলিং করে ৩৭ রান খরচায় তিনটি উইকেট নিয়েছেন রিতু মনি। ৪২ রান দিয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন নাহিদা আক্তার। ৫২ রান দিয়ে একটি নিয়েছেন জাহানার আলম।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নড়বড়ে ছিল বাংলাদেশ। দলীয় ১২ রানেই হারায় শারমিন সুলতানার উইকেট। এরপর বিদায় নেন নিগার সুলতানা ও ফারজানা হক। ছক্কা হাঁকিয়ে দারুণ কিছুর আভাস দেওয়া মুর্শিদা ৫৪ বল খেলে ১৯ রান করে বিদায় নেন।
মাঝে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন সালমা খাতুন। কিন্তু এত বড় রানের পাহাড় টপকাতে এই রান যথেষ্ট ছিল না। ৩৫ বলে ৩২ রান করে আউট হন সালাম। তিনি ফিরলে শেষ পর্যন্ত ১১৯ রানে থামে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৫০ ওভারে ২২৯/৭ (স্মৃতি ৩০, শেফালি ৪২, স্বস্তিকা ৫০, মিতালি ০, হারমানপ্রিত ১৪, রিচা ২৬, পুজা ৩০*, স্নেহ রানা ২৭, ঝুলন ২*; সালমা ৮-১-২৩-০, জাহানারা ৪-০-৫২-১, নাহিদা ৯-০-৪২-২, রিতু মনি ১০-২-৩৭-৩, রুমানা ৮-১-২৭-০, লতা ৪-০-২০-০, ফাহিমা ৩-০-২২-০)।
বাংলাদেশ: ৪০.৩ ওভারে ১১৯ (মুর্শিদা ১৯, শারমিন ৫, ফারজানা ০, নিগার ৩, রুমানা ২, লতা ২৪, সালমা ৩২, রিতু ১৬, ফাহিমা ১, নাহিদা ০, জাহানারা ১১*; ঝুলন ৭.৩-১-১৯-২, রাজেশ্বরি ১০-৪-১৫-১, পুজা ৬-০-২৬-২, স্নেহ রানা ১০-২-৩০-৪, পুনম ৭-০-২৫-১)।
ফল: ১১০ রানে জয়ী ভারত।