মাশরাফীর প্রতি মাহমুদউল্লাহর বিশেষ কৃতজ্ঞতা

নেতৃত্বে অনেক অভিজ্ঞ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক তিনি। এমনকি ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও সবচেয়ে সফল নেতা। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সাত আসরের মধ্য চারটিতেই শিরোপাজয়ী অধিনায়ক তিনি। এবার জেমকন খুলনার হয়ে জিতলেন বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ।
মাশরাফীর এই অভিজ্ঞতা বেশ কাজে লেগেছে খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর। মাঝপথে টুর্নামেন্টে যোগ দেওয়া মাশরাফীকে দলে পাওয়া বড় প্রাপ্তির বলে মনে করেন তিনি। তাই তো শিরোপা জয়ের রাতে মাশরাফীর প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুল করেননি খুলনার অধিনায়ক।

গতকাল শুক্রবার টুর্নামেন্টের ফাইনালে চট্টগ্রামকে পাঁচ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ান হয়েছে খুলনা। ম্যাচ শেষে এই প্রাপ্তির জন্য সতীর্থদের ধন্যবাদ জানান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। জয়ের কৃতিত্ব সবাইকে দিলেন মাহমুদউল্লাহ, ‘এর চেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারি না। বোলারেরা, ব্যাটসম্যানেরা এবং বিশেষ করে ফিল্ডারেরা যেভাবে তাদের সব ঢেলে দিয়েছে, তাদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। আলহামদুলিল্লাহ্, আমরা আমাদের লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছি। আমরা কিছু উইকেট হারিয়েছিলাম শুরুতে। আমাদের জুটি দরকার ছিল তখন। কমপক্ষে ১৪০-১৫০ রান করতেই হতো। কারণ উইকেট খুবই ভালো ছিল। দ্রুত উইকেট হারানো সবসময়ই ব্যাটসম্যানদের জন্য চাপের। আমরা যেভাবেই হোক, ১৫০ করতে পেরেছি। আমি মনে করি ফাইনাল ম্যাচে যদি আপনি দ্রুত উইকেট হারান, তাহলে রান তাড়া করা সবসময়ই চাপের। প্রথম কয়েক ম্যাচে আমি যেভাবে চাইছিলাম সেভাবে ব্যাটিং করতে পারছিলাম না। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। খুশি যে আমি অবদান রাখতে পেরেছি। বিশেষ ধন্যবাদ আমার দলকে।’
এরপর মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই ম্যাশকে। সে অনেক সাহায্য করেছে। তাঁর অভিজ্ঞতা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে। তাকে পাওয়া ছিল অনেক বড় প্রাপ্তি।