শহীদুলের বাবাকে জয় উৎসর্গ করলেন মাশরাফীরা
জেমকন খুলনা কোয়ালিফায়ার রাউন্ডে ওঠার আগমুহূর্তে বাবা হারানোর বড় দুঃসংবাদ পান শহীদুল ইসলাম। ওইদিনই টিম হোটেল ছেড়ে বাড়ি চলে যান তিনি। এরপর ফিরে এসে বাবাকে হারানোর শোক নিয়েই দারুণ বোলিংয়ে জেমকন খুলনাকে শিরোপা উপহার দেন শহীদুল। তাই শিরোপা জয়ের ম্যাচ শহীদুলের বাবা হাবিবুর রহমানকেই উৎসর্গ করলেন মাশরাফী-মাহমুদউল্লাহরা।
গত রোববার রাতে মারা যান খুলনার পেসার শহীদুলের বাবা। ওই রাতে বাবাকে শেষবার দেখতে বাড়িতে ছুটে যান তিনি। বাড়ি থেকে ফিরে এসে যোগ দেন স্কোয়াডে। করোনা পরীক্ষা করে খেলেন শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে। তাঁর করা শেষ ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে চট্টগ্রামের বিপক্ষে পাঁচ রানের জয় পায় জেমকন খুলনা।
শেষ ওভারে ছয় বলে জয়ের জন্য চট্টগ্রামের দরকার ছিল ১৬ রান। প্রথম বলে মাত্র এক রান দেন শহীদুল। পরের বলে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত নেন দুই রান। তৃতীয় বলে শট খেলতে গিয়ে আউট হয়ে যান তিনি। চতুর্থ বলে আরেক সৈকতকেও বোল্ড করেন শহীদুল। এরপর নাহিদুল ছক্কা হাঁকালেও চট্টগ্রামকে জিততে দেননি শহীদুল।
ম্যাচ শেষে দলের সিনিয়র ক্রিকেটার মাশরাফী মোর্ত্তজা বলেন, ‘সবকিছুর জন্য সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ধন্যবাদ। যখন আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছি সবসময়ই চ্যাম্পিয়ান হওয়ার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে যখন আমি ফাইনাল খেলেছি। এটার জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ এবং একটা জিনিস যে, আমরা সবাই আজ শহীদুলের বাবার জন্য খেলেছি। তিনি পাঁচদিন আগে মারা গেছে।’
মাশরাফী আরো বলেন, ‘আমাদের অধিনায়ক (মাহমুদউল্লাহ) বলেছে যে, আমরা শহীদুলের জন্য খেলব। তারা বাবা মারা যাওয়ার কারণে বাড়িতে ছিল এবং হোটেলে সে গত তিনদিন কোয়ারেন্টিনে ছিল। সে পরীক্ষায় নেগেটিভ হয় এবং সে খেলেছে। আমরা শুধু তার জন্য খেলেছি। আল্লাহকে ধন্যবাদ যে আমরা তার জন্য জয়ে এনে দিতে পেরেছি।’
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৫৫ রান করে জেমকন খুলনা। জবাবে নির্ধারিত ওভারে ১৫০ রানে থামে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। গুরুত্বপূর্ণ দিনে ব্যাট হাতে অপরাজিত ৭০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।