মুমিনুলের জায়গায় সুযোগ পেতে পারেন এনামুল
হঠাৎ করেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দলে সুযোগ পান এনামুল হক। ইয়াসির আলী রাব্বির চোট তাঁকে দলে সুযোগ করে দেয়। এবার অপেক্ষা একাদশে সুযোগ পাওয়ার। আগামীকাল শুক্রবার সেন্ট লুসিয়ায় শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করতে আশাবাদী তিনি।
এনামুল হক জোর দিয়ে বলেছেন, সম্প্রতি ঘরোয়া ক্রিকেটে পাওয়া সাফল্য তিনি টেস্ট ক্রিকেটে কাজে লাগাতে চান।
ডানহাতি ব্যাটসম্যান ব্যাকআপ হিসেবে আট বছর পর টেস্ট দলে ফেরেন। আর ২০১৯ সাল থেকে কোনো ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে খেলেননি তিনি। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বিশ্ব রেকর্ড গড়ে দলে ফিরেন। তিনি ১৫ ম্যাচ খেলে ১১৩৮ রান করেন। ঢাকা লিগ লিস্ট ‘এ’ মর্যাদা পাওয়ার পর এক মৌসুমে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই ওপেনার। যাতে নয়টি হাফসেঞ্চুরি ও তিনটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। আগের রেকর্ডটি অস্ট্রেলীয় তারকা টম মুডির। তিনি ১৯৯১ সালে ৯৭১ রান সংগ্রহ করেছিলেন।
ডানহাতি ব্যাটসম্যানের প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেটে প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। ১০৫ ম্যাচ খেলে ৪৫.৩২ গড়ে ৭৪৭৯ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেন্ট লুসিয়ায় অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় টেস্টে মুমিনুল হক বা নাজমুল হোসেন শান্তর জায়গায় এনামুলকে সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
সেন্ট লুসিয়ায় সাংবাদিকদের এনামুল বলনে, ‘এই ধরনের সাফল্য আমাকে আত্মবিশ্বাস এনে দেয়। এটি আমাকে উৎসাহিত করে। এটি আমার জন্য বড় অভিজ্ঞতা, আমি এত বছর ধরে প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছি। প্রত্যেক খেলোয়াড়েরই স্বপ্ন থাকে বড় পরিসরে খেলার। এই অভিজ্ঞতা আমাকে সাহায্য করবে জাতীয় দলে অবদান রাখতে।’
অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার আরও বলেন, ‘আট বছর পর আমি টেস্ট দলে ডাক পেয়েছি। তাই এটি আমার জন্য একটি বড় সুযোগ। দারুণ সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। আমি সত্যিই টেস্ট ক্রিকেটকে ভালোবাসি। যেভাবে প্রথম-শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছি, সেভাবেই জাতীয় দলে খেলার চেষ্টা করব।’
‘এটা সত্যি আমাকে সাদা বলের জন্য ডাকা হয়েছিল। আমি সেভাবে অনুশীলন করছি। যদি টেস্টে সুযোগ পাই আমি সেভাবে খেলার চেষ্টা করব।’
টপ-অর্ডারের ব্যর্থতা বাংলাদেশ দলের জন্য একটি বড় উদ্বেগের বিষয়। শেষ ১২টি ইনিংসের মধ্যে পাঁচটিতে ২০০-এর কম রানে আল আউট হয়েছে বাংলাদশে। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ৮০ এবং ৫৩ রানের অলআউট হয়ে যায় দল। সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে আল আউট হয়েছিল বাংলাদেশ দল।