শান্তর পর মুস্তাফিজের আঘাত, চাপে আয়ারল্যান্ড
লক্ষ্যটা ২৭৫। ইংলিশ কন্ডিশন বিবেচনায় এই লক্ষ্য খুব একটা নিরাপদ নয়। তবে, এই লক্ষ্যকে পুঁজি করেই আইরিশ ব্যাটারদের চেপে ধরার চেষ্টা বাংলাদেশ বোলারদের। শুরুতেই ওপেনার স্টিফেন দোহেনিকে ফিরিয়ে ভালো শুরু করলেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। তবে দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার অ্যান্ড্রু বালবার্নি ও পল স্টার্লিংয়ের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশকে ভালো জবাব দিচ্ছিল আয়ারল্যান্ড। পেসার এবাদত আইরিশদের প্রতিরোধ ভেঙে বাংলাদেশকে স্বস্তি এনে দিলেন। এবাদতের পর এবার আইরিশ শিবিরে মিরাজের হানা। এরপর ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেটের দেখা পেলেন শান্ত-মুস্তাফিজ।
আজ রোববার (১৪ মে) ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তৃতীয় ওয়ানডেতে ২৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিল দুই ওপেনার পল স্টার্লিং ও স্টিফেন দোহেনি। তবে, তাদের জুটি বড় হতে দেননি মুস্তাফিজ। দলীয় ১৭ রানে দোহেনি ফেরান বাঁহাতি এই পেসার। অফস্ট্যাম করিডোরে করা মুস্তাফিজের বলে স্লিপে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দোহেনি। আউটের আগে তার ব্যাট থেকে আসে ১৬ বলে মাত্র চার রান। তার বিদায়ের পরই বালবার্নি-স্টালিং মিলে দেখেশুনে ব্যাটিং করতে থাকেন।
ক্রিজে সেট হয়ে যাওয়া দুই ব্যাটার স্টার্লি-বালবার্নিকে কোনোভাবেই ফেরাতে পারছিল না বাংলাদেশের বোলাররা। শেষমেশ ১০৯ রানের জুটি গড়ে দলীয় ১২৬ রানে ডিপ মিডউইকেটে রনি তালুকদারের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। আউটের আগে খেলেন ৭৮ বলে ৫৩ রানের কার্যকরী ইনিংস। এরপর দলীয় ১৪৬ রানে স্টার্লিংকে ফেরার মিরাজ। ডানহাতি এই ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ৭৩ বলে ৬০ রান। তার বিদায়ের পর একে একে টেক্টর ও ক্যাম্ফারকে ফিরিয়েছেন শান্ত-মুস্তাফিজ। শেষখবর পর্যন্ত আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২২৭ রান।
এর আগে ১০ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করে তামিম।