ফিফা কার্যালয়ে পুলিশের হানা
আগামী শুক্রবার ফিফার সভাপতি নির্বাচন। অথচ বুধবার সকাল থেকে হঠাৎই ফুটবলাঙ্গনে তোলপাড়। জুরিখের একটি হোটেল থেকে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ফিফার সাত শীর্ষ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে সুইস পুলিশ। এরপরই ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে জুরিখেই ফিফার সদর দপ্তরে পুলিশ হানা দিয়ে জব্দ করেছে বেশ কিছু নথিপত্র।
পুলিশ অভিযান চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে অবস্থিত উত্তর, মধ্য আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল নিয়ে গঠিত কনকাকাফ কনফেডারেশনের সদর দপ্তরেও।
রাশিয়া ২০১৮ এবং কাতার ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক। কিন্তু এই দুই দেশের হাতে বিশ্বকাপের আয়োজক হওয়ার ‘পুরস্কার’ তুলে দিতে অনেক অনিয়ম করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সুইজারল্যান্ডের অ্যাটর্নি-জেনারেলের দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচনের সময় নির্বাহী কমিটির যে ১০ জন সদস্য ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’ এই ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের নথিপত্রও এরই মধ্যে চাওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে এই বিবৃতিতে।
এদিকে দুই যুগ ধরে চলা বেশ কিছু ষড়যন্ত্র ও দুর্নীতির অভিযোগে কনকাকাফের সদর দপ্তরেও অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। যুক্তরাষ্ট্রের আইন বিভাগ ফিফার পাঁচ নির্বাহী ও নয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে। বিচার বিভাগের অ্যাটর্নি জেনারেল লোরেতা লিঞ্চ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘অন্তত দুই প্রজন্ম ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি ডলার ঘুষ নিয়েছেন কর্মকর্তারা।’