ভোটাররা বিচক্ষণ হলে পগবা জিততেন ব্যালন ডি’অর!
জুভেন্টাসের হয়ে টানা তিনবার ইতালিয়ান লিগ জিতেছেন। তুরিনের রানীদের নিয়ে গেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালেও। দুর্দান্ত খেলে ফ্রান্সকে পৌঁছে দেন ইউরো কাপের ফাইনালে। শিরোপা না জিতলেও জোসে মরিনিয়োর হৃদয় ঠিকই জিতে নেন পল পগবা। ট্রান্সফার ফির রেকর্ড ভেঙে জুভেন্টাস থেকে ম্যানইউতে আসেন এই ফরাসি মিডফিল্ডার।
প্রথম কয়েকটা ম্যাচে অবশ্য নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি পগবা। তবে রেড ডেভিলদের হয়ে ধীরে ধীরে ডানা মেলতে শুরু করেছেন তিনি। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের সর্বশেষ ম্যাচে মিডলসব্রোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ম্যানইউ। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছেন পগবা। ম্যাচের একেবারে শেষ সময়ে গোল করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। আর জয়ের দিন অকুণ্ঠচিত্তে শিষ্যের প্রশংসা করলেন জোসে মরিনিয়ো। স্পেশাল ওয়ান তো রোনালদো-মেসির চেয়েও এগিয়ে রাখলেন পগবাকে।
মরিনিয়োর মতে, রোনালদো নয়, ব্যালন ডি’অরটা পগবার পাওয়া উচিত ছিল। রেড ডেভিলদের কোচ বলেন, ‘ভোটাররা বিচক্ষণ হলে ব্যালন ডি’অর পগবাই জিততেন। কে ভালো খেলল, আমরা সেটা না দেখে কে গোল করল, সেটাই দেখি। সে কারণেই কোনো গোলরক্ষক ব্যালন ডি’অর জেতেন না। পাওলো মালদিনি কখনোই এই পুরস্কার পাননি।’
কেবল বেশি গোল করার জন্যই মেসি ও রোনালদো ব্যালন ডি’অর পান বলে মনে করেন মরিনিয়ো। তিনি বলেন, ‘বেশি গোল করার কারণেই মাইকেল ওয়েন গোল্ডেন বল জিতেছিলেন। মেসি-রোনালদোরাও তাই। স্বীকার করছি তারা দুর্দান্ত, তবে বেশি গোলদাতারাই পুরস্কারটি পাবে—এই ধারণা বদলানো দরকার।’
ইউনাইটেড বস জানান, পগবা যেভাবে খেলছেন তাতে করে সে অচিরেই বিশ্বের সেরা ফুটবলারে পরিণত হবে। মরিনিয়ো বলেন, ‘সে সত্যিই দুর্দান্ত। অসাধারণ জোর আছে তার, বক্সের বাইরে থেকেও গোল করতে পারে। আর ফ্রিকিকটাও দারুণ।’
ব্যালন ডি’অরের এবারের প্রতিযোগিতায় মেসিকে হারিয়ে পুরস্কার জিতেছেন রোনালদো। রিয়াল উইঙ্গার পেয়েছেন ৭৪৫ ভোট আর বার্সেলোনা তারকা মেসি পেয়েছেন ৩১৬ ভোট। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৭৩ সাংবাদিকের ভোটে এবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী নির্বাচিত হয়। পল পগবা ও আর্তুরো ভিদাল যৌথভাবে চতুর্দশতম স্থানে ছিলেন।