আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার মেহরাজ
চার বছর আগে লিস্টার সিটির নামটাও জানতেন না রিয়াদ মেহরাজ। শুরুতে ভেবেছিলেন, এটা বুঝি ইংল্যান্ডের একটা রাগবি ক্লাব! কিন্তু গত বছর সেই লিস্টার সিটির জার্সি গায়েই ইতিহাস গড়েছেন আলজেরিয়ার এই মিডফিল্ডার। ফুটবল-দুনিয়াকে অবাক করে দিয়ে প্রথমবারের মতো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জিতে নিয়েছে নিচের সারির এই ক্লাব, যেখানে বিশাল অবদান ছিল মেহরাজের। গত বছর দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারও নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত টানা চারটি বছর আফ্রিকার বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠেছিল ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার ইয়াইয়া তোরের হাতে। ২০১৫ সালে তাঁকে পেছনে ফেলে পুরস্কার জিতেছিলেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের পিয়েরে-এমরিকে আবামেয়াং। কিন্তু ২০১৬ সালে এই দুজনকেই ছাড়িয়ে গেছেন মেহরাজ।
২০১৫-১৬ মৌসুমের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন লিস্টার সিটির জেমি ভার্ডি। তাঁর নামটাই বেশি উচ্চারিত হয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলোতে। কিন্তু দলের অবিস্মরণীয় সাফল্যের পেছনে অনেকটা নীরবেই কাজ করে গেছেন মেহরাজ। ৩৭টি ম্যাচ খেলে নিজে করেছেন ১৭টি গোল। সহায়তা করেছেন দলের আরো ১০টি গোলে। আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটা তাই প্রাপ্যই ছিল আলজেরিয়ার এই মিডফিল্ডারের। সুখবরটি পাওয়ার পর মেহরাজ বলেছেন, ‘এটা খুবই সম্মানের ব্যাপার। আমি খুবই খুশি। ধন্যবাদ জানাই আলজেরিয়া ও লিস্টার সিটির সতীর্থদের। আমি এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি আমার পরিবারের উদ্দেশে, যাঁরা প্রতিদিন আমাকে অনেক সমর্থন দেন।’
উত্তর আফ্রিকা থেকে দীর্ঘদিন পর কেউ জিতলেন এই বর্ষসেরার পুরস্কার। এর আগে ১৯৯৮ সালে আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন মরক্কোর মুস্তফা হাজি।