শুভ জন্মদিন পাবলো জাবালেতা
গোটা মাঠ দাঁপিয়ে প্রতিপক্ষের জালের সামনে বল নিয়ে চলে এলেন রোনালদো-ওজিলরা। স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকের চোখ তখন বলের দিকে। আর সেই সময়ই ঘিয়ে ছাই দিলেন পাবল জাবালেতা। বল কেড়ে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগটাকে বাঁচিয়ে দিলেন এই ফুটবলার। বছরের পর বছর ধরে বেশ নিপূণতার সঙ্গেই এই কাজ করে চলেছেন এই তারকা ডিফেন্ডার। বর্তমান ফুটবল বিশ্বের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম পাবলো জাবালেতা। লিওনেল মেসি, সার্জিও আগুয়েরো, গঞ্জালো হিগুয়াইন যখন মাঠে গোল করতে ব্যস্ত, তখন আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ সামলাতে ব্যস্ত জাবালেতা। আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ নিয়ে প্রশ্ন উঠলেও বরাবরই সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে ছিলেন তিনি। কেবল আর্জেন্টিনা নয় অনেক বছর ধরেই ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দল ম্যানচেস্টার সিটির রক্ষণভাগও সামলাচ্ছেন তিনি।
পাবলো হাভিয়ের জাবালেতা হিরোদ। ১৯৮৫ সালে আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েন্স আয়ার্সে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। শৈশবেই মাকে হারানো জাবালেতা বাবা জর্জের হাত ধরে ফুটবল অঙ্গনে আসেন। ১৫ বছর বয়সেই আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-১৫ দলে ডাক পাওয়ার মধ্য দিয়েই তার শুরু হয় জাবালেতার ক্যারিয়ার। ২০০৩ এবং ২০০৫ সালের ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে সবার নজরে আসেন তিনি। তাঁর নেতৃত্বই ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব ২০ ফুটবলের শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা। যুব দলের হয়ে ৭৫টি ম্যাচ খেলার পর ২০০৫ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হয়। ২০০৮ সালের অলিম্পিকে আর্জেন্টিাকে ফুটবলের স্বর্ণ জেতাতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখেন তিনি। ২০১১ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের আর্মব্যান্ডটা ওঠে তাঁর হাতে। ২০১৪ সালে আর্জেন্টিনা দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠাতে বড় ভূমিকা রাখেন এই তারকা ফুটবলার।
ক্লাব ফুটবলেও বড় নাম এই জাবালেতা। আর্জেন্টিনার ছোট একটি ক্লাব ক্লাব অ্যাথলেটিকো সান লরেঞ্জো দেল আলমাগ্রোতে খেলেন তিনি। এরপর ১২ বছর বয়সে অব্রাস সানিতারিয়াসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন। ২০০৫ সালে পর ৩ মিলিয়ন ইউরোতে এস্পানিওলে যোগ দেন জাবালেতা। এরপর পরবর্তী সময়ে ২০০৮ সালে আসেন ম্যানচেস্টার সিটিতে। ১৯৬৮ সাল থেকে টানা ৪৪ বছর পর সিটিজেনদের প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জেতাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন তিনি। ২০১২–১৩ মৌসুমের পিএফএ বর্ষসেরা দলে জায়গা করে নেওয়া ম্যানচেস্টার সিটির একমাত্র খেলোয়াড় ছিলেন জাবালেতা। আর্জেন্টাইন এই তারকা ফুটবলারের আজ জন্মদিন। শুভ জন্মদিন পাবলো জাবালেতা।