এবার লাল-সবুজ জার্সির বিশ্বজয়ের পালা!
গত এক বছর ধরে ওয়ানডে ক্রিকেটে লাল-সবুজের বাংলাদেশ বিশ্বের হৃদয় জয় করে নিয়েছে। কেবল ক্রিকেট-নৈপুণ্যে নয়, ক্রিকেট বিশ্বের নজর কেড়েছে বাংলাদেশের জার্সিও। ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জার্সি নিয়ে একটি জরিপ করছে। আর এতে শীর্ষস্থানে অবস্থান করে এগিয়ে আছে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে মাশরাফি ও সাকিবদের জার্সিটি।
ক্রিকইনফোর পাঠকরা নিয়মিত ভোট দিচ্ছেন ওই জরিপে। পাঠকের অংশহগ্রহণে করা ওই জরিপে লাল ও সবুজের বাংলাদেশের জার্সি এখন পর্যন্ত পেয়েছে ১১ হাজার ভোট। চলতি বছর অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ওই জার্সি ব্যবহার করেছিল বাংলাদেশ। লাল ও সবুজের মধ্যে জলছাপে ছিল রয়েল বেঙ্গল টাইগারের ছবি। আর এ জার্সি পরেই টাইগাররা নজরকাড়া নৈপুণ্যে স্থান নিয়েছিল বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। ক্রিকইনফো ওই জার্সি পরা অবস্থায় রুবেলের ছবি দিয়েছে। পরপর দুই উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে ধসিয়ে দিয়েছিলেন রুবেল।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ১৯৯২ সালের ইমরান খানের পাকিস্তানের ব্যবহার করা হালকা সবুজ রঙের জার্সি। দ্বিতীয় অবস্থানকারী পাকিস্তান পেয়েছে এক হাজার ৩০০ ভোট। ১৯৯২ সালে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ জিতে চমক সৃষ্টি করে পাকিস্তান।
তৃতীয় অবস্থানে আছে অস্ট্রেলিয়া। তবে হলুদ রঙের গতানুগতিক অস্ট্রেলিয়া নয়। ২০১৩-১৪ মৌসুমে অসিদের পোশাকে পরিবর্তন এনেছিল পৃষ্ঠপোষক কেএফসি। পুরোদস্তুর সবুজ রঙের ওই পোশাকে সোনালি দাগ টানা। ৭৫০ ভোট পেয়েছে ওই জার্সি।
৬৫৪ ভোট নিয়ে আবারও তালিকায় স্থান পেয়েছে পাকিস্তান। সবুজের পাশাপাশি নীল রঙের ব্যবহার হয়েছিল পাকিস্তানের ওই জার্সিতে। আমির সোহেলদের পরনে প্যান্ট ছিল নীল রঙের। ১৯৯৬-৯৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত কার্লটন অ্যান্ড ইউনাইটেড সিরিজে দুর্দান্ত খেলে পাকিস্তান। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া ফাইনালের খেলারই সুযোগ পায়নি। আর পরপর দুই ফাইনালে ওয়ালশের ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজ জিতে নেয় ওয়াসিম আকরামের দল। পরে অবশ্য পাকিস্তানকে কখনো ওই পোশাকে দেখা যায়নি।
৫৮৮ ভোট পেয়ে পঞ্চম স্থানে আছে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপের ভারত। গাঢ় নীল রঙের পোশাকে আজহার উদ্দিনের ভারত অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছিল। নবীন টেন্ডুলকার আর বয়স্ক কপিল দেবের ভারত অবশ্য তেমন ভালো খেলেনি ওই বিশ্বকাপে।
ষষ্ঠ অবস্থানে ব্ল্যাক ক্যাপ নিউজিল্যান্ড। পুরোদস্তুর কালো পোশাকটি ৫৪৬ দর্শকের মন জয় করে নিয়েছে। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে ওই জার্সি ব্যবহার করে স্টিফেন ফ্লেমিংরা।
ক্রিকেটবিশ্বকে অবাক করে দিয়ে সপ্তম স্থানে ঠাঁই নিয়েছে ওয়ানডে ও টেস্ট মর্যাদাহীন পাপুয়া নিউগিনির জার্সি। ৪৬৯ ভোট পেয়েছে হলুদের মধ্যে কালো ও লাল দাগের ওই জার্সি। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এ জার্সি পরে খেলে পাপুয়া নিউগিনি।
৩৭৮ ভোট পেয়ে অষ্টম স্থানে আছে ২০০০ সালের নিউজিল্যান্ড। ক্রিস কেয়ার্নসের কালোটা এবার মিশেছিল সাগরের নীল রঙে। আর ফার্নটা ছিল সাদা। ২০০০ সালে কেনিয়ায় অনুষ্ঠিত নকআউট বিশ্বকাপের ফাইনালে সৌরভ গাঙ্গুলির ভারতকে কাঁদিয়ে শিরোপা জিতে নেয় কেয়ার্নসের দল। এখন পর্যন্ত ব্ল্যাক ক্যাপদের এটাই সেরা প্রাপ্তি।
নবম অবস্থানে আছে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের জার্সি। নীল রঙের ওপর ব্যবহার করা স্কটল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী টার্টান আর স্যালটায়ার ক্রস নজর কেড়েছে ৩৭৬ দর্শকের।
৩৬৬ ভোট পেয়ে আবার ব্ল্যাক ক্যাপরা শীর্ষ দশে স্থান নিয়েছে। নিজেদের ও অস্ট্রেলিয়ার মাঠে অনুষ্ঠিত ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কালোর পাশাপাশি নীল রং ব্যবহার করে নিউজিল্যান্ড। কালো তো ছিলই, এবার পিঠে নীল রং ব্যবহার করে ম্যাককালামরা। আর এ পোশাক পরেই দুর্দান্ত খেলে ফাইনালে উঠে যায় নিউজিল্যান্ড। তবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে হেরে অধরাই রয়ে গেল সোনার হরিণ।