সাক্ষাৎকার
‘অনেক ভালো লাগে যখন দেশের জার্সি পরে নামি’
২০১১ সালে দেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপটা খেলা হয়নি তাঁর। ইনজুরিতে পড়ে ছিটকে যেতে হয়েছে দলের বাইরে। হতাশ হয়ে পড়লেও ছেড়ে দেননি আশা। ২০১৫ সালে আবারও প্রত্যাবর্তন আর সেটা অধিনায়ক হয়ে। তিনি মাশরাফি বিন মুর্তজা। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ নিজের সেরা নৈপুণ্যটা দেখিয়েছে মাশরাফির অধীনেই। urgentPhoto
কেবল বিশ্বকাপে নৈপুণ্য? দেশের মাটিতে একে একে পাকিস্তান, ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে জয়ী হয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন পৌঁছে গেছে নতুন উচ্চতায়। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ আর ব্যক্তিজীবন নিয়ে কথা হয় মাশরাফির সঙ্গে।
দলের সাফল্যের রহস্যটা কী..
১৫ বছর আগে যে অবস্থায় ছিল তখন থেকে এখনের দিকে তাকালে ক্রিকেটের পেছনে যত মানুষ আছে বা যে সুবিধাগুলো আছে এটা তো তখন ছিল না। এখন উন্নতি হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। সবাই কঠোর পরিশ্রম করছে। অনেক নিয়মের মধ্যে থেকেই কঠোর পরিশ্রম করা হচ্ছে। অনুশীলনগুলো খুব দরকার আমাদের জন্য।
প্রত্যাশা কতটুকু পূরণ ..
২০১১ সালটা ছিল খুব হতাশার। ২০১৫ সালে তো অধিনায়ক দলের। সময়টা আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো গেছে আমাদের। তারপরও আমরা কয়েকটা সিরিজ জিতলাম। আসলে ভাবি না ওভাবে যে আগে কী হয়েছিল, এখন কী চলছে।
সামনে অস্ট্রেলিয়া ...
আমাদের টেস্ট ক্রিকেটের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্রিকেট মেলালে, পার্থক্যটা অনেক বেশি। সে জায়গা থেকে আমি অনুরোধ করব প্রত্যাশা যেন এমন কিছু না থাকে। তবে একটা জিনিস অবশ্যই আমি আশা করতে পারি যেভাবে খেলছি আমরা, যে আত্মবিশ্বাসটা আমাদের আছে, এটাকে কাজে লাগিয়ে আমরা যা খেলেছি তার চেয়ে আরো ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি কি না, এটা অবশ্যই আশা করব।
পেসাররা ...
পেস বোলাররা ভালো করলে বিপরীত দলের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ে। কারণ স্পিনাররা তখন ভালো বল করবে। এখন পর্যন্ত আমাদের পেস বোলিং ভালো হচ্ছে। আমাদের ইউনিটটা খুব ভালো। আশা করি এভাবে যদি গড়ে উঠতে পারি, তবে সামনে আরো ভালো হবে এবং টেস্ট ক্রিকেটেও আমরা ভালো করতে পারব। আমার কথা হচ্ছে সবার প্রস্তুত থাকা। যখনই ডাক পড়বে সে যেন তার সেরাটা খেলতে পারে।
মায়ের কথা ...
মা সম্পর্কে বললে শুধু আমার একার মা তা নয়, প্রত্যেক ছেলেমেয়ের জন্যই তার বাবা-মা সব সময় দোয়া করেন। এটা শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রেই নয়, সব ক্ষেত্রেই। আমার মাও অনেক করেন। মা সপ্তাহে তিন-চারদিন রোজাই রাখেন আমার জন্য। প্রত্যেক মা-বাবাই তাঁর সন্তানদের জন্যই করেন। সেটা আমার ক্ষেত্রেও হয়।
স্ত্রী, সন্তান কতটুকু উপভোগ করে?
মেয়েটা বোঝে আমি ক্রিকেট খেলি। কেউ যদি জিজ্ঞেস করে তখন সে বলতে পারে। ওর বয়স চার বছর হয়ে গেল। ছেলেটার তো নয় মাস বয়স। এখনো বোঝে না কিছু। মেয়েটা অনেক উপভোগ করে। যখন টিভিতে দেখে আমি বোলিং করছি তখন সে দেখে। হয়তো এত কিছু বোঝে না।
ক্রিকেটার না হলে ...
ক্রিকেটার না হলে কী হতাম- এটা বলা খুবই কঠিন। কারণ ছাত্র হিসেব ভালো ছিলাম তাও না। আবার খুব খারাপও ছিলাম না। তবে কী হতাম এটা বলা খুব কঠিন। ক্রিকেটার হবো- এভাবে শুরু করিনি। একটা পর্যায়ে আসার পর অনুর্ধ্ব ১৭ তে যখন ঢুকলাম তখন মনে হলো ক্রিকেটটা আমি খেলতে চাই। তার পরই ক্রিকেটকে প্রফেশনালি খেলা। এখন তো প্রায় ১৫ বছর পরে এসে অবশ্যই নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে যে দেশের জার্সি পরে যখন নামি ওই যে অনুভূতিটা সেটা হয়তো বা পৃথিবীর অন্য কিছু করে আমি এ আনন্দটা পেতাম না।