স্কয়ার ড্রাইভ
চাপমুক্ত হয়ে শুরু করুক বাংলাদেশ

ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই আফগানিস্তানের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে বাংলাদেশ দল এখন মানসিকভাবে পিছিয়ে আছে। বুধবার বিশ্বকাপ মিশনের প্রথম ম্যাচে তা কাটিয়ে উঠতে পারলে মাশরাফি-সাকিবদের জয়ের পথে কোন কিছু বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
মাঠে তো ভালো খেলতে হবেই। তবে এই ম্যাচে সবচেয়ে বেশি জরুরি মানসিক শক্তি। কারণ প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতে হারের পর খেলোয়াড়দের মনোবল খুব একটা ভালো জায়গায় নেই। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পেলেই সব চাপ কাটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
গত বছরের মার্চে এশিয়া কাপে এই আফগানিস্তানের কাছেই হেরেছিল বাংলাদেশ। সেই হার মাশরাফিদের চাপে রাখতে পারে। কিন্তু পুরনো কথা মনে রাখলে চলবে না। নিজেদের সামর্থ্যের সবটা ঢেলে দিতে হবে। তা ছাড়া বিশ্বকাপে সব ম্যাচেই চাপ থাকবে। মানসিক দৃঢ়তা দিয়ে সেই চাপ মোকাবিলা করতে হবে। আমার বিশ্বাস, আমাদের খেলোয়াড়দের সেই সামর্থ্য আছে।
এই বিশ্বকাপে ভালো করার জন্য আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় পাওয়া খুবই জরুরি। আফগানরা সব সময় নিজেদের সামর্থ্যের পুরোটা উজাড় করে খেলে। তাদের শক্তির জায়গা পেস অ্যাটাক। গতির সঙ্গে তারা দারুণ সুইংও করাতে পারে।
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তার সঙ্গে ওদের বোলারদের মোকাবিলা করতে হবে। আমাদের দলে বিশ্বমানের কয়েকজন খেলোয়াড় আছে। তারা নিজেদের মেলে ধরতে পারলে প্রতিপক্ষকে ভালো টার্গেট দেওয়া সম্ভব হবে। ব্যাটসম্যানরা ভালো সংগ্রহ এনে দিতে পারলে বোলারদের জন্য অনেক সুবিধা হবে।
আফগানিস্তানের সঙ্গে তুলনায় বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ যথেষ্ট ভালো। বল হাতে অধিনায়ক মাশরাফিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে হবে। তাহলে দলের অন্য বোলাররাও উজ্জীবিত হবে।
আমার মতে টস জিতলে বাংলাদেশের পরে ব্যাট করাই ভালো। আমাদের বোলারদের লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বল করতে হবে। কোনোভাবেই প্রতিপক্ষের ইনিংসকে বড় হতে দেওয়া যাবে না। টার্গেট যত ছোট হবে ব্যাটসম্যানরা তত চাপমুক্ত হয়ে ব্যাট করতে পারবে।
আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইন-আপ খারাপ না। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৩০৮ রান করেছিল তারা। সেই ম্যাচে মাত্র ১৪ রানে জিতলেও আফগানরা বেশ ফুরফুরে মেজাজে আছে। বিশ্বকাপে প্রথম খেলতে আসা দলটি চাপমুক্ত হয়েই খেলতে নামবে।
তারপরও আমি বলব, সামর্থ্য এবং অভিজ্ঞতায় বাংলাদেশ দল এগিয়ে থাকবে। সব চাপ ঝেড়ে ফেলে সামর্থ্যের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারলে বিশ্বকাপ-অভিযানের সূচনা ভালোভাবেই হবে।
মিনহাজুল আবেদীন নান্নু : জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যান অব দ্য ম্যাচ।