বেফাঁস মন্তব্য করে বিপাকে কিরজিয়স
পেশাদার টেনিস ক্যারিয়ার শুরু করেছেন মাত্র দুই বছর আগে। শুরুটা যথেষ্ট আশাজাগানো। গত বছরের উইম্বলডন আর এ বছরের অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিলেন। কিন্তু সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিতর্কে জড়িয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নিক কিরজিয়স। এ বছরের ফ্রেঞ্চ ওপেনজয়ী স্টানিস্লাস ভাভরিঙ্কার বান্ধবীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করায় বড় অঙ্কের জরিমানা গুনতে হচ্ছে তাঁকে।
গত বুধবার কানাডার মনট্রিয়লে রজার্স কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয়েছিলেন কিরজিয়স ও ভাভরিংকা। ঘটনাটা ঘটেছে সে সময়। কোর্টের মধ্যে ভাভরিংকার বান্ধবীকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করেছিলেন ২০ বছর বয়সী কিরজিয়স। তবে কোর্টে থাকা মাইক্রোফোনের কারণে মন্তব্যটা করে ধরা পড়ে যান তিনি।
কিরজিয়স বলেছিলেন, ভাভরিংকার বান্ধবী অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। এই মন্তব্যের পর ভাভরিংকার কাছে অবশ্য ক্ষমা চান কিরজিয়স। তবে পুরুষদের টেনিসের সর্বোচ্চ সংস্থা এটিপি তাতে সন্তুষ্ট হচ্ছে না। কিরজিয়সকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করেছে তারা। কোর্টে বলবয়দের উদ্দেশে আরেকটি বিতর্কিত মন্তব্য করায় আরো আড়াই হাজার ডলার জরিমানা দিতে হচ্ছে তাঁকে। সব মিলিয়ে সাড়ে ১২ হাজার ডলার জরিমানা দিতে হবে কিরজিয়সকে।
অবশ্য শুধু জরিমানা দিয়ে পার নাও পেতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার এই তরুণ। এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে এটিপি। দোষী প্রমাণিত হলে নিষেধাজ্ঞার মুখেও পড়তে হতে পারে কিরজিয়সকে।
এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় বইছে টেনিস বিশ্বে। পুরুষদের টেনিসের এক নম্বর খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচ বলেছেন, ‘কিরজিয়সকে জরিমানা করা হয়েছে। আর সেটা তার প্রাপ্যই। আমার মনে হয় এর ফলে সে একটা ভালো শিক্ষা পাবে।’ ব্রিটিশ তারকা অ্যান্ডি মারের কণ্ঠেও জোকোভিচের কথার প্রতিধ্বনি, ‘আমাদের প্রিয় খেলা টেনিসে কিছু কিছু বিষয় আছে নিঃসন্দেহে। অন্যান্য খেলায় হয়তো আমাদের কল্পনার বাইরে এমন কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। কিন্তু টেনিসে কিছু কিছু জিনিস না করাই উচিত। এটা তেমনই এক ব্যাপার।’