তরুণ ক্রিকেটারদের সাহায্য করতে চাই : স্টুয়ার্ট ল
জেমি সিডন্স বিদায় নেওয়ার পর জাতীয় ক্রিকেট দলের হাল ধরেছিলেন তিনি। ২০১১ বিশ্বকাপের পর দায়িত্ব নিয়ে অবশ্য বেশিদিন ছিলেন না। প্রায় ১০ মাস পর পারিবারিক কারণে ইস্তফা দিয়ে দেশে ফিরে যান স্টুয়ার্ট ল। সেই অল্প সময়েই বাংলাদেশকে দারুণ এক সাফল্য এনে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অধীনে ২০১২ এশিয়া রানার্সআপ হয়েছিল বাংলাদেশ। ল আবার বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের টেকনিক্যাল উপদেষ্টা হয়ে মঙ্গলবার ঢাকায় এসেছেন এই অস্ট্রেলিয়ান কোচ।
আগামী জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ১৬ সপ্তাহের জন্য এই দায়িত্ব নিয়েছেন ল। আপাতত চার সপ্তাহ খুলনা ও বিকেএসপিতে প্র্যাকটিসে দলের সঙ্গে থাকবেন তিনি। তারপর ফিরে যাবেন। চার সপ্তাহের জন্য আবারও আসবেন অস্ট্রেলিয়ার এই সাবেক ব্যাটসম্যান। সবশেষে বিশ্বকাপের সময় টানা আট সপ্তাহ দলের সঙ্গে থাকবেন।
২০১২ সালের এপ্রিলে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব ছেড়ে দিলেও ক্রিকেটারদের নিয়মিত খোঁজ-খবর রেখেছেন ল। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে সে কথা জানালেনও তিনি, ‘বাংলাদেশ থেকে চলে গেলেও ক্রিকেটারদের নিয়মিত খোঁজখবর রেখেছি। তাদের কারো কারো সঙ্গে ফেসবুকেও যোগাযোগ হয়েছে। ভালো করলে অভিনন্দনও জানিয়েছি।’
এবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাফল্যের প্রত্যাশায় তাঁর দ্বারস্থ বাংলাদেশ। ল অবশ্য বাস্তববাদী হওয়ারই চেষ্টা করলেন, ‘আমার হাতে এমন কোনো জাদুমন্ত্র নেই যে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো দল গড়ে ফেলব। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনূর্ধ্ব-১৯ দল যেভাবে খেলছে, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে সাফল্য আসবেই। কিছুদিন আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তারা দারুণ খেলেছে। আশা করি যুব বিশ্বকাপেও ভালো খেলবে।’
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সাত ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ৫-২ ব্যবধানে জিতেছিল অনূর্ধ্ব-১৯ দল। তার আগে গত এপ্রিলে ঘরের মাঠে প্রোটিয়া তরুণদের তারা উড়িয়ে দিয়েছিল ৬-১ ব্যবধানে।
অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে যথাসম্ভব সাহায্য করার আশ্বাস দিয়ে ল বললেন, ‘আমি এখানে কোনো কিছু বদলাতে আসিনি। যে প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতি চলছে, তারই সাহায্যকারী হতে চাই। এই দলকে নিয়ে গত দুই বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন বর্তমান কোচিং স্টাফরা। তাঁদের সঙ্গে বাড়তি কিছু যোগ করতে চাই আমি।’