বৃথা গেল মুস্তাফিজের দারুণ সাফল্য
আইপিএলের লড়াইয়ে আজ বৃহস্পতিবার সাকিব আল হাসানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ মুখোমুখি হয়েছিল মুস্তাফিজুর রহমানের মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের। সাদামাটা সংগ্রহ নিয়েও মুস্তাফিজুর রহমানের দারুণ বোলিংয়ের পরেও এক উইকেটের শ্বাসরুদ্ধকর জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ল সাকিবের হায়দরবাদ।
প্রথমে ব্যাট করা মুম্বাই স্কোরকার্ডে জড়ো করে ১৪৭ রানের মামুলি সংগ্রহ। তারপরও ইনিংসের একদম শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে সাকিবের দলকে।
রাজিব গান্ধী স্টেডিয়ামে ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দলকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন হায়দরাবাদের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। ৬২ রানের জুটি গড়ে ২২ রানে যখন ফিরছেন ঋদ্ধিমান সাহা ম্যাচটা মনে হচ্ছিল হায়দরাবাদের হাতেই। কিন্তু ম্যাচের মোড়টা ঘুরে এরপরই।
রোহিত শর্মা অষ্টম ওভারে আক্রমণে নিয়ে আসেন মুস্তাফিজুর রহমানকে। আর নিজের করা প্রথম ওভারেই কেইন উইলিয়ামসনকে ফিরিয়ে দেন কাটার মাস্টার। এক রান পরেই ২৮ বলে ৪৫ রান করা শিখর ধাওয়ানের ঝড় থামিয়ে দেন মারকান্দে।
চাপে থাকা হায়দরাবাদ টেনে নেওয়ার দায়িত্ব নিয়ে এরপর উইকেটে আসেন সাকিব। মনিশ পান্ডের সঙ্গে তাঁর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টাটা বৃথা যায় মারকান্দের বলে পান্ডের ফিরে যাওয়ায়। একটু পর অবশ্য নিজেও ফিরেছেন ১২ বলে এক চারে ১২ রান সংগ্রহ করে। সাকিবসহ মোট চার সানরাইজার্স ব্যাটসম্যানের উইকেট তুলে নেন মারকান্দে। ওভারের কোটা শেষ হলে মারকান্দের ইতি টানতে হয় সেখানেই। এবার দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেন বাংলাদেশি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
উইকেট নিলেও প্রথম দুই ওভারে ২০ রান খরচ করা ‘দ্য ফিজ’ ফিরে আসেন নিজের তৃতীয় ওভারে। দলীয় ১৬তম ওভারে মাত্র তিন রান দিয়েছিলেন কাটার মাস্টার। জশপ্রীত বুমরাহর ১৭তম ওভারে মাত্র তিন রান দিয়ে পরপর তুলে নেন ইউসুফ আর রশিদ খানকে। ম্যাচের পেন্ডুলামটা সেখানেই ঘুরে যায় মুম্বাইয়ের দিকে।
পরের ওভারে ম্যাচটা পুরোই মুম্বাইয়ের পক্ষে অনেকটাই এনে দিয়েছিলেন কাটার-মাস্টার। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৮তম ওভারে সিদ্ধার্থ কাউলকে ফেরান নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে। সে ওভারে শেষের বলে আবার মুস্তাফিজ তুলে নেন সন্দ্বীপ শর্মাকে। সে ওভারে মাত্র এক রান দিয়েছিলেন বাঁহাতি এই পেসার।
শেষের জাদুতে সব মিলিয়ে চার ওভারে ২৪ রান খরচায় তিন উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজ। শেষ দুই ওভারে চার রান দিয়ে দুই ব্যাটসম্যানকে পকেটে পুরেছেন কাটার-মাস্টার।
তবে পুঁজিটা বড় না হওয়ায় মুস্তাফিজের সে মিতব্যয়ী বোলিং আর ধোপে টেকেনি। শেষ ওভারে ম্যাচ বাঁচাতে মুম্বাইয়ের দরকার ছিল এক উইকেট আর হায়দরাবাদের দরকার ছিল ১১ রানের। মুম্বাইয়ের হয়ে বেন কাটিং পারেননি তবে দিপক হুদা পেরেছেন হায়দরাবাদকে জেতাতে।
কাটিংয়ের করা শেষ ওভারের প্রথম বলেই ছয় হাঁকান দিপক। ২৫ বলে ৩২ রানের অপরাজিত ইনিংসে শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই অলরাউন্ডার।