মজিদের দ্বিশতকের জবাবে লিটনের অপরাজিত শতক
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) চলছে ষষ্ঠ রাউন্ড। আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলের আব্দুল মজিদের দুর্দান্ত দ্বিশতকের জবাবে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের হয়ে অপরাজিত শতক হাঁকিয়েছেন লিটন দাস। আরেক ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরির দিনে এনামুল বিজয় পুড়েছেন শতক না পাওয়ার আক্ষেপে।
রাজশাহীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে মধ্যাঞ্চল সংগ্রহ করেছেন সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫৪৬ রান। জবাব দিতে নেমে সমানতালে লড়ছে পূর্বাঞ্চল। দিনশেষে তাদের সংগ্রহ তিন উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান।
শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে মজিদের আগের দিনের সংগ্রহ ছিল ১৫৯ রান। যদিও প্রথম দিনের শেষদিকে চোট পেয়ে ছেড়েছিলেন মাঠ। এদিন অবশ্য ব্যাটিংয়ে ফিরেই তুলে নিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম দ্বিশতক। সব মিলিয়ে ২৪৬ বলে ২২ চার আর আট ছক্কায় ফিরেছেন ২০৫ রানে। সোহাগ গাজী পূর্বাঞ্চলের হয়ে নিয়েছেন পাঁচ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে গাজী এই নিয়ে ১৪তম বার ঝুলিতে পুরলেন পাঁচ উইকেট।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে নেমেই দ্রুত দুই উইকেট হারালেও তাসামুল হককে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়েছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান লিটন দাস। ১৪৮ রানের জুটি গড়ে তাসামুল ৬৭ রানে ফিরলেও লিটন দেখা পেয়েছেন ১২তম প্রথম শ্রেণির শতকের। দিনশেষে ডানহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ ১২৫ বলে ২৩ চার আর এক ছয়ে হার-না-মানা ১৩৯ রান।
খুলনায় ষষ্ঠ রাউন্ডের আরেক ম্যাচে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে আট উইকেট হারিয়ে স্কোরকার্ডে ৩৬৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে দক্ষিণাঞ্চল। দিনশেষে কোন উইকেট না হারিয়ে উত্তরাঞ্চলের সংগ্রহ ৩২ রান। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মিজানুর রহমান ও জুনায়েদ সিদ্দিকী অপরাজিত আছেন যথাক্রমে ১৭ ও ১৪ রানে। ম্যাচে দক্ষিণাঞ্চল এগিয়ে আছে ১৪৬ রানে।
আগের দিনেই দারুণ এক জুটি গড়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন এনামুল ও ইমরুল। সেটা পেরেছেনও তাঁরা। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এই যুগলের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮৪ রান। দিনের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ইমরুল ফিরলেও জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান ঠিকই তুলে নিয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ১৭তম শতক। ১৬৫ বলে ১৩ চার ও দুই ছয়ে ফিরে গেছেন ১০৭ রানে।
তবে এনামুল হক বিজয় পুড়েছেন শতক না পাওয়ার আফসোসে। সেঞ্চুরি থেকে ১১ রান দূরে ৮৯ রানে বিদায় নিতে হয়েছে এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে। শেষদিকে মাত্র ২৫ রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেললে দ্রুত ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণাঞ্চল। উত্তরাঞ্চলের হয়ে রেজা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সপ্তমবারের মত শিকার করেছেন পাঁচ উইকেট।