কীর্তির ম্যাচে হায়দরাবাদকে জেতালেন সাকিব
প্রথমে ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। পরে বল হাতের অসাধারণ সাফল্যে সানরাজার্স হায়দরাবাদকে দারুণ জয় এনে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। শুধু তাই নয়, দলের এই জয়ের দিনে সাকিব দারুণ একটি কীর্তিও গড়েছেন। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) নিজের ৫০তম ম্যাচে ৫১টি উইকেট নেওয়ার অনন্য অর্জন ঝুলিতে জমা রাখলেন এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার।
আজ বৃহস্পতিবার নিজেদের মাঠে হায়দরাবাদ ১৩ রানের দারুণ জয় তুলে নিয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে। স্বাগতিকদের গড়া সাদামাটা ১৩২ রানের ইনিংসের জবাবে পাঞ্জাবের ইনিংস থেমে যায় ১৩ রান বাকি থাকতেই।
ছোট লক্ষ্য বলে পাঞ্জাবের শুরুটাও হয়েছে দারুণ। দুই ওপেনার রাহুল ও গেইল বিনা উইকেটে ৫৫ গড়ে ফেলায় মনে হয়েছিল জয়টা বুঝি সহজই হবে। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের চরম ব্যর্থতায় তা শুধু কঠিনই হয়ে যায়নি, শেষ পর্যন্ত হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাদের।
যাতে সাকিব বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। তিন ওভার বল করে ১৮ রান দিয়ে দুটি উইকেট তুলে নিয়েছেন। সে সঙ্গে প্রথম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে গড়েছেন নতুন একটি কীর্তি। আইপিএলে অন্যরকম হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ৫০ ম্যাচ খেলে ৫১ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
এর আগে ব্যাট হাতেও সাকিব ছিলেন উজ্জ্বল। মাত্র ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে দলের ব্যাটিং লাইন যখন অনেকটাই বিপর্যস্ত, ঠিক তখনই বুক চিতিয়ে রুখে দাঁড়ান এই বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে বড় কোনো ইনিংস খেলতে পারেননি ঠিক, কিন্তু তাঁর অন্যতম সাফল্যে হায়দরাবাদ গড়েছে ১৩২ ইনিংসটি।
চতুর্থ উইকেট জুটিতে সাকিব-মানিশ পান্ডে দারুণ ভিত গড়ে দেন। দলের দুর্দিনে এই দুজনে দৃঢ়তা না দেখালে হয়তো এই ইনিংসও গড়া সম্ভব হতো না। তাঁরা দুজনে মিলে ৫২ রানের দারুণ একটি পার্টনারশিপ গড়েন।
সাকিব ২৯ বলে ২৭ রানের মাঝারি মানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরেন। যাতে তিনটি চারের মার ছিল। তিনি ফিরে গেলেও মানিশ ৫১ বলে ৫৪ রানের একটা চমৎকার একটি ইনিংস খেলেন। বলা যায় দলের এই ইনিংস গড়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অবদান তাঁরই। শেষ দিকে ইরফান পাঠন ২১ বলে ১৯ রান করেন।
পাঞ্জাব পেসার অঙ্কিত রাজপুত বল হাতে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়েই মূলত দায়দরাবাদকে এই অল্প স্কোরের মধ্যে আটকে ফেলেন। চার ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নেন তিনি। কিন্তু তাঁর এই সাফল্য খুব একটা কাজে আসেনি। দলকে হারের স্বাদ নিতে হয়েছে।