শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য শেষ ম্যাচে ছিলেন না সাব্বির
ভারতের দেরাদুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হতে হয় টাইগারদের। দলের পাশাপাশি সাব্বির রহমানও ব্যাট হাতে তেমন সুবিধা করতে পারেননি। প্রথম দুই ম্যাচে তাঁর রান যথাক্রমে ০ ও ১৩। তৃতীয় ম্যাচে তিনি ছিলেন না দলের সঙ্গে। আপাতদৃষ্টিতে সাব্বিরের ফর্মহীনতা দায়ী মনে হলেও ড্রেসিংরুমে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ার কারণেই মূলত একাদশে ছিলেন না এই ২৬ বছর বয়সী তারকা।
এর আগেও সাব্বির রাজশাহীতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে এক ভক্তকে পেটানোর দায়ে ছয় মাসের জন্য নিষিদ্ধ হন। সেই নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ না হতেই তিনি ড্রেসিংরুমে সতীর্থের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। একজন প্রত্যক্ষদর্শীর মাধ্যমে জানা যায়, মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয় সাব্বিরের। ব্যাপারটা শেষ পর্যন্ত মারামারি পর্যন্ত গড়ায়।
একজন কর্মকর্তা অবশ্য আশ্বস্ত করেন, এটা বড় কোনো ঘটনা নয়, স্রেফ ভুল বোঝাবুঝি। এমনকি এ ঘটনা ম্যানেজারের রিপোর্টেও উল্লেখ করা হয়নি।
রাজশাহী ঘটনার আগেও একবার শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে সাব্বিরের নামে। ২০১৬ সালে হোটেল রুমে মেয়ে অতিথিকে ঢুকিয়ে ১২ লাখ টাকা জরিমানা গুনতে হয়েছিল নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে। সিলেট সিক্সার্সের দ্বিতীয় ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে আম্পায়ারের সঙ্গে বাজে আচরণ করে ম্যাচ ফির অর্ধেক জরিমানা ও তিনটি ডিমেরিটস পয়েন্ট যোগ হয়েছিল এই ব্যাটসম্যানের নামের পাশে। এবার সাব্বিরকে শেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সাব্বির যেন বড় ধরনের শাস্তির মুখোমুখি না হন, এ জন্য বাংলাদেশের টিম ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন এই ইস্যু সামনে আনতে চাননি।