ফুটবলে আগ্রহ কমছে ব্রাজিলিয়ানদের!
ব্রাজিলকে ‘ফুটবলের দেশ’ বললে ভুল বলা হবে না। চার বছর আগে বিশ্বকাপের আসরও বসেছিল ব্রাজিলে। সে দেশের অধিকাংশ মানুষ সেবার ফুটবলের দিকে ফিরে তাকাতে চাননি। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি উদ্বেগজনক ছিল। তার ওপর অর্থনৈতিক ব্যবস্থায়ও দুর্নীতির ছায়া পড়েছিল। এমন অস্থির পরিস্থিতিতে দেশের মানুষ ফুটবল নিয়ে ডুবে থাকতে চায়নি; বরং ব্রাজিলের একাংশ বিশ্বকাপের মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ উগড়ে দিতে চেয়েছিল। যদিও রাষ্ট্র কঠোর হাতে দমন করেছিল। তবে এবারের রাশিয়া বিশ্বকাপ নিয়েও যে তাদের খুব একটা মাথাব্যথা নেই, সেটার প্রমাণ পাওয়া গেল সাম্প্রতিক এই রিপোর্টে। এই রিপোর্টে অংশগ্রহণকারী কেবল ৬০ ভাগ মানুষ জানিয়েছে, তারা খেলাধুলা নিয়ে আগ্রহী। বাকি ৪০ ভাগ লোক তাদের অনাগ্রহের কথা জানিয়েছে।
পেলে, রোনালদো, নেইমার ডি সিলভাদের দেশে সাধারণ জনগণের এমন অনাগ্রহের ব্যাপারটি ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ২০১৪ সালে নিজেদের দেশে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলের বড় ব্যবধানের পরাজয় ক্ষেপিয়ে তুলেছে ভক্ত ও সমর্থকদের। ফুটবল দলের ওপর থেকে বিশ্বাস উঠে গেছে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। রাশিয়া বিশ্বকাপে নেইমারদের প্রধান কাজ তাঁদের প্রতি জনগণের বিশ্বাস পুনরায় স্থাপন করা। তাঁর জন্য বিশ্বকাপ জেতার বিকল্প নেই।
ব্রাজিলিয়ানদের ২০১৩ সালে ফুটবলের প্রতি আগ্রহ ছিল ৭৩ শতাংশ, যা গত আসরের জার্মানির বিপক্ষে শোচনীয় পরাজয়ের পর কমতে থাকে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, চীন, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইংল্যান্ডের অধিবাসীদের আগের চেয়ে ফুটবলের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে। রিপোর্টে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রিয়াল মাদ্রিদ ও পর্তুগালের তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো সামাজিক যোগাযোগ রক্ষায় এগিয়ে আছেন তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার তারকা লিওনেল মেসির থেকেও বেশি।