তামিমের সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ
টেস্ট সিরিজে হতাশার হার। লজ্জাজনক হার বললেও ভুল বলা হবে না। ২-০তে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সাকিব বাহিনী। তবে ওয়ানডেতে অন্য বাংলাদেশকে দেখছে ক্যারিবীয়রা। সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা খুব একটা ভালো না হলেও তামিম ইকবালের সেঞ্চুরি ও সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত ২৭৯ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে সফরকারী দল।
গায়ানায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে শুরুতেই ওপেনার এনামুল হাকের উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে দারুণ দৃঢ়তা দেখিয়ে ওপেনার তামিম ইকবাল ও ওয়ান ডাউনে খেলতে নামা সাকিব আল হাসান শুরুর এই ধাক্কা সামলান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে দুজনে মিলে এই চাপ সামলে দলকে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের পথ দেখান।
ক্যারিবীয়দের দুর্দান্ত পেস আক্রমণের সামনে চমৎকার নৈপুণ্য দেখিয়ে সাকিব ৯৭ রান করে ফিরে গেলেও তামিম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১৩০ রানে। এটি তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দশম শতক। অবশ্য সাকিব মাত্র তিন রানের জন্য অষ্টম শতক করতে পারেননি।
তবে এদিন সাকিব-তামিম দুজনের মিলে যে জুটি গড়েছেন তা সত্যিই অসাধারণ। তারা ২০৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েই দলকে বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন।
মুশফিকুর রাহিম শেষ দিকে একটি দারুণ ঝড়ো ইনিংস খেলেন। মাত্র ১১ বলে ৩০ রান করেন তিনি। এ ছাড়া সাব্বির রহমান ৩ ও মাহমুদউল্লাহ ৪ রান করেন।
অবশ্য এর আগে দলীয় ১ রানের মাথায় ওপেনার এনামুল হক তিন বল খেলে কোনো রান না নিয়ে সাজঘরে ফিরে যান। এর পরই বৃষ্টি নামে, তাই সাময়িক বন্ধ ছিল খেলা। পবে আবার খেলা শুরু হয়।
অবশ্য এই ম্যাচের ভেন্যু গায়ানায় বাংলাদেশের রেকর্ড বেশ ভালো। এই মাঠে এর আগে একটি মাত্র ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে। সে ম্যাচে হাবিবুল বাশারের দল ৬৭ রানে হারিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। মোহাম্মদ আশরাফুল খেলেছিল ৮৭ রানের চমৎকার একটি ইনিংস।