রুনির প্রশংসায় পঞ্চমুখ মেসি
লিওনেল মেসি এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। মাত্র ২৮ বছর বয়সেই সর্বকালের সেরা ফুটবলারের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। অথচ সেই মেসিই কি না এ প্রজন্মের সেরা ফুটবলারের আসনে বসালেন ওয়েইন রুনিকে!
গত বুধবার রুনি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ৫০তম গোল করে একটি রেকর্ড গড়েছেন। স্যার ববি চার্লটনকে (৪৯ গোল) পেছনে ফেলে তিনিই এখন ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতা। তার পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক। তবে মেসির মতো মহাতারকার প্রশংসা নিশ্চয়ই রুনির জন্য ‘স্পেশাল’।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ইউরো-২০১৬ বাছাইপর্বে রুনির রেকর্ডগড়া গোলটির পর বার্সেলোনা তারকা বলেছেন, ‘ওয়েইন রুনির মতো খেলোয়াড় একটি প্রজন্মে একবারই আসে। সে সেই বিশেষ ধরনের ফুটবলার, যাঁর সঙ্গে কারো তুলনা হয় না। বিশেষ খেলোয়াড় অনেকেই হতে পারে; কিন্তু রুনির মধ্যে কিছু বিরল গুণ ও কৌশলগত দক্ষতা আছে। আমার মুখোমুখি হওয়া অন্যতম শক্তিশালী খেলোয়াড় সে। তাঁর পরিশ্রম করার ক্ষমতা অবিশ্বাস্য। সে জন্যই আর কেউই তাঁর মতো নয়।’
রুনির মতো মেসির সামনেও এখন স্বদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার হাতছানি। ৫৬ গোল নিয়ে রেকর্ডটি এখন গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার দখলে। বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে মেসির ৪৯তম গোল হার থেকে বাঁচিয়েছে আর্জেন্টিনাকে। দুজনের ক্লাব ক্যারিয়ার দারুণ সমৃদ্ধ হলেও জাতীয় দলের হয়ে তেমন সাফল্য নেই রুনি আর মেসির। মেসি তা-ও ২০১৪ বিশ্বকাপ আর দুবার কোপা আমেরিকার রানার্সআপ দলে ছিলেন। রুনির ইংল্যান্ডের পক্ষে তেমন কোনো সাফল্যই নেই।
ইংল্যান্ড অধিনায়কের এই কষ্টের জায়গাটা ভালোই বুঝতে পারছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক, ‘রুনি একজন বিজয়ী। ওর এখন উচিত ইংল্যান্ডের হয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের দিকে মনোযোগ দেওয়া। আমার আর আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। শিরোপা জিততে না পারলে বেশি ম্যাচ খেলা বা বেশি গোলের রেকর্ডের কোনো মানেই থাকে না।’
ক্লাবের পাশাপাশি জাতীয় দলের হয়েও রুনি আর মেসি সাফল্যের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে উঠতে পারেন কি না, তা সময়ই বলে দেবে।