৩৮ বছরে কলিন্সের চমক
গত এপ্রিলে পূর্ণ করেছেন ৩৮ বছর। তবে এখনো যে ফুরিয়ে যাননি সেটা প্রমাণ করলেন কিম কলিন্স। জার্মানির ডুসেলডর্ফ ইনডোর মিটে ৬০ মিটার স্প্রিন্টে সবাইকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। তা-ও আবার এই ইভেন্টে এবারের মৌসুমের সেরা টাইমিং ৬.৫২ সেকেন্ডে।
২০০৩ সালের বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সোনা জিতে হৈ-চৈ ফেলে দিয়েছিলেন কলিন্স। এই কীর্তি খ্যাতি এনে দিয়েছিল তাঁর দেশ সেইন্ট কিটস ও নেভিসেরও। কিন্তু এরপর অ্যাথলেটিক ট্র্যাকে তেমন বড় কোনো সাফল্য পাননি।
এরপর ২০০৫ ও ২০১১ সালের বিশ্ব অ্যাথলেটিকসে ব্রোঞ্জই ছিল কলিন্সের সেরা সাফল্য। তার আগে ২০০৪ এথেন্স অলিম্পিকে ১০০ মিটারে হয়েছিলেন ষষ্ঠ। চার বছর পরের বেইজিং অলিম্পিকে ২০০ মিটারেও ষষ্ঠ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
ব্যর্থতার বৃত্তে ঘুরপাক খেতে খেতে হতাশ কলিন্স ২০০৯ সালে দীর্ঘ ১৭ বছরের ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানার ঘোষণা দেন। তবে ট্র্যাকের মায়া কাটাতে পারেননি। দুই বছর পরই অবসর ভেঙে ফিরে আসেন অ্যাথলেটিকসে।
গত সেপ্টেম্বরে আইএএএফ কন্টিনেন্টাল কাপে ৪x১০০ মিটার রিলে সোনা জিতেছিলেন। এবার আর দলগতভাবে নয়, ব্যক্তিগত শিরোপাই কলিন্সের হাতে।