অস্ট্রেলিয়ার তারকা ক্রিকেটারদের বল টেম্পারিং, মাঠে মাত্রা ছড়ানো স্লেজিং ইত্যাদির কারণে ক্রিকেটের ডিএনএ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা, আইসিসির প্রধান ডেভিড রিচার্ডসন।

বল টেম্পারিংয়ের নিয়মগুলো নিয়ে অনেক গোলমাল আছে বলে অভিযোগ করেন অনেক ক্রিকেটার। তবে এমন কথা বলার কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন রিচার্ডসন। এমসিসির কলিন কাউড্রি লেকচারে তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেটটা শুধু একটা খেলা নয়, এই কথাটা এমনি এমনি আসেনি। এটা হয়েছে কারণ, ক্রিকেটের ডিএনএ গড়ে উঠেছে সততা দিয়ে। আর মানুষ জানে যে ক্রিকেট খেলার চেয়েও বেশি কিছু অর্থ বহন করে। কিন্তু এখন আমরা যে ধরনের আচরণ দেখছি, তা সবকিছু গোলমাল পাকিয়ে দিচ্ছে। আর এটা বন্ধ হতে হবে।’

রিটার্ডসন আরো বলেন, ‘যেসব স্লেজিংয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণ ছাড়া আর কিছুই থাকে না, কেউ আউট হওয়ার পর ফিল্ডাররা যেভাবে ব্যাটসম্যানদের প্যাভিলিয়নে ফেরার ইঙ্গিত দেন, অপ্রয়োজনীয় শারীরিক আচরণ, আম্পায়ারের কোনো সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে না খেলার হুমকি দেওয়া, বল টেম্পারিং—ইত্যাদি ব্যাপারগুলো ক্রিকেটের চেতনা তুলে ধরে না। আমরা এমনটা দেখাতে চাই না বিশ্বকে।’

গত কয়েক মাসে ক্রিকেটের ভাবমূর্তি সত্যিই বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে। বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ও সহ-অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নার। সেই একই সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক ও অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার যেভাবে হাতাহাতিতে জড়িয়েছিলেন, সেটা নিয়েও নিন্দা-সমালোচনা হয়েছে বেশ।

বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানও আছেন আইসিসির নিন্দার তালিকায়। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করে তিনি দল নিয়ে মাঠের বাইরে চলে যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। গত মাসে শ্রীলঙ্কার কোচ ও দুজন খেলোয়াড়কে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। লঙ্কান অধিনায়ক দিনেশ চান্দিমালের বিরুদ্ধে এসেছিল বল টেম্পারিংয়ের অভিযোগ।