এবার হকি খেলোয়াড়দের ‘বিদ্রোহ’
চারটি ক্লাব এবং ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্বে অনেক দিন ধরেই হকিতে অচলাবস্থা চলছে। ঘরোয়া প্রতিযোগিতাগুলো নিয়মিত হচ্ছে না। মোহামেডানসহ চারটি ‘বিদ্রোহী’ ক্লাব অংশ না হওয়ায় গত বছর প্রিমিয়ার লিগ দায়সারাভাবে হয়েছিল। এ মৌসুমে তো তিন-তিনবার তারিখ পরিবর্তন করেও দলবদল শুরু করতে পারেনি হকি ফেডারেশন। খেলোয়াড়রা তাই ভীষণ ক্ষুব্ধ। তাঁদের কণ্ঠেও এখন ‘বিদ্রোহে’র সুর। দলবদল না হওয়া পর্যন্ত এসএ গেমস ও অনূর্ধ্ব-২১ এশিয়ান কাপের ক্যাম্পে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ১৫ জন খেলোয়াড়।
গত শনিবার শুরু হওয়া এই ক্যাম্পের জন্য ডাক পেয়েছেন ৪০ জন। এঁদের মধ্যে সার্ভিসেস দলগুলোর ২৫ জন ক্যাম্পে যোগ দিলেও বাকিরা দলবদলের দাবিতে অনড়।
দেশের সবচেয়ে বড় হকি-তারকা রাসেল মাহমুদ জিমিও আছেন ‘বিদ্রোহী’দের দলে। তিনি বলেন, ‘দলবদল না হওয়ায় খেলোয়াড়দের অনেকেই আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছেন। কেউ কেউ খুবই দুরবস্থার মধ্যে রয়েছেন। এই অবস্থায় জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেওয়া আমি যৌক্তিক মনে করি না। আগে দলবদল হোক, তারপরই আমরা ক্যাম্পে যোগ দেওয়ার কথা চিন্তা করব।’
রোববার ১৫ জন খেলোয়াড় হকি ফেডারেশনের কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন দলবদল না হওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পে যোগ দেবেন না তাঁরা।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খাজা রহমতউল্লাহ খেলোয়াড়দের দাবির কথা শুনেছেন। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘আমি শুনেছি খেলোয়াড়রা একটা চিঠি দিয়েছে। এই বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমরা চাই যে কোনো সময়ে দলবদল হোক। কয়েকটি ক্লাব চাচ্ছে না বলেই দেরি হচ্ছে।’
ক্লাব এবং ফেডারেশনের কর্মকর্তাদের দ্বন্দ্ব দূর করতে ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় গত মে মাসে একটা উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর সেই উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। গত মাসে ফেডারেশনের সভাপতি ও বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার মার্শাল আবু এসরারও ‘বিদ্রোহী’দের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই হকির জট খুলছে না।