ফিফার মহাসচিব ভালকে বহিষ্কার
ফিফার বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই ফুটবলাঙ্গনে তোলপাড় চলছে। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছিল ফিফার উচ্চপদস্থ সাত কর্মকর্তাকে। পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল সুইজারল্যান্ডে ফিফার সদর দপ্তরেও। এবার দুর্নীতির অভিযোগে মহাসচিবের পদ থেকে জেরোম ভালকেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা।
প্রায় চার মাস আগে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর সবার আঙুল উঠেছিল সে সময়ের সভাপতি সেপ ব্ল্যাটার ও ফিফা পরিচালনায় তাঁর প্রধান সহকারী জেরোম ভালকের দিকে। অভিযোগটা অবশ্য বরাবরই নাকচ করে গেছেন দুজনে। যদিও ফিফা সভাপতি নির্বাচনে টানা পঞ্চমবারের মতো বিজয়ী হওয়ার মাত্র চারদিন পর সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়ে সন্দেহের পালে হাওয়া দিয়েছিলেন ব্ল্যাটার।
তবে নিজের পদ আঁকড়ে ধরেছিলেন ভালকে। কিন্তু নতুন করে অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে অপসারণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিফা। এক বিবৃতিতে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘ভালকেকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব থেকে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মহাসচিবের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে ফিফা অবগত। এ ব্যাপারে ফিফার নৈতিকতাবিষয়ক কমিটির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করার সুপারিশও করা হয়েছে।’
২০১০ বিশ্বকাপের আয়োজক করার বিনিময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছ থেকে এক কোটি ডলার ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ভালকের বিরুদ্ধে। শুরু থেকেই অবশ্য অভিযোগটা অস্বীকার করে আসছিলেন তিনি। এখন তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৪ বিশ্বকাপের টিকেট বিক্রির দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটা এনেছেন বেনি অ্যালন নামের এক ব্যক্তি। গত বিশ্বকাপের টিকেট বিক্রির সঙ্গে জড়িত একটি কোম্পানিতে পরামর্শক হিসেবে কাজ করতেন অ্যালন। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে টিকেট বিক্রি সংক্রান্ত চুক্তি করেও পরে তা বাতিল করেছিল ফিফা।
২০০৭ সালের জুন থেকে ফিফার মহাসচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন ৫৪ বছর বয়সী ভালকে।