ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে আছেন ওপেনাররা
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এশিয়া কাপ ভক্তদের যতটা আশা নিয়ে শুরু হয়েছিল, সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচের পর সেই আশা অনেকটাই মিইয়ে গেছে। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের হারের পর গতকাল শুক্রবার ভারতের বিপক্ষে সাত উইকেটে হেরেছে। আসরে টানা দুই ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। গত দুই ম্যাচে ব্যাটিং ইনিংসে যে দাঁড়াতেই পারছে না স্টিভ রোডসের শিষ্যরা। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংসে মূল ভূমিকায় থাকেন ওপেনাররা। যদিও পরিসংখ্যান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের পক্ষেই কথা বলছে। তবে যে ম্যাচে ওপেনাররা ভালোভাবে শুরু করে আসতে পারেননি, তেমন অধিকাংশ ম্যাচেই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
গ্রুপ পর্বের শুরুতেই এশিয়া কাপের শেষ দেখে ফেলেছিলেন তামিম ইকবাল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে সুরাঙ্গা লাকমালের বাউন্সারে পুল করতে গিয়ে কব্জিতে চিঁড় ধরে তাঁর। ফলে লিটন দাস এবং মোহাম্মদ মিঠুনের উপর ভরসা রাখছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তবে সেই ভরসাকে হতাশায় পরিণত করেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লিটন দাস করেছিলেন মাত্র ছয় রান, লেগ বিফোর উইকেট হয়েছিলেন পেসার আফতাব আহমেদের বলে। সুপার ফোরে ভারতের বিপক্ষে মাত্র সাত রান করেই পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে যান তিনি। তরুণ ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত অভিষেক ম্যাচে আফগান স্পিনার মুজিব-উর-রহমানের বলে আউট হন মাত্র সাত রান করে। ভারতের বিপক্ষেও বুমরাহর বলে সেই সাত রানেই আউট হন তিনি।
গত দুই ম্যাচেই দুজন ওপেনার দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। এর কারণ হিসেবে অভিজ্ঞতার ঘাটতি মনে করছেন ভক্তরা। দলের বর্তমান ওপেনারদের কেউই যে টানা কয়েকটি আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচে ওপেনিংয়ে নামেননি তামিম ইকবালের সঙ্গে! তাই এশিয়া কাপের সুপার ফোর রাউন্ডের মতো হাই ভোল্টেজ ম্যাচেও দাঁড়াতে পারেননি তাঁরা। এজন্য হয়তো হঠাৎ করেই এশিয়া কাপের দলে ডাক পেয়েছেন সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস। সৌম্য ও ইমরুল দুজনেই খেলছিলেন বিসিবির হাই পারফরমেন্স দলের হয়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে একমাত্র থিতু ওপেনার তামিম ইকবাল। তবে সিনিয়র খেলোয়াড়রা যখন অবসরে যাবেন তখন হাল ধরতে হবে তরুণদেরই। সেখানে যেন অভিজ্ঞতার ঘাটতি না থাকে, সেই কথাও মাথায় রাখতে হবে নির্বাচকদের। শ্রীলঙ্কা দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা অবসরের পরে দল পুনর্গঠনের সময়কাল চলছে এখন। বলা চলে অনেকটা হারের বৃত্তে আটকে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ দলের পুনর্গঠন কতটা ইতিবাচক হবে, সেটি নিয়ে ভাবতে হবে নির্বাচকদের। তবে সুপার ফোরের সামনের ম্যাচগুলোতে কতটা শক্ত ভিত এনে দিতে পারেন ওপেনাররা, সেটিই দেখার বিষয়।