সিরিজ জিততে ‘এ’ দলের চাই ২৯৮ রান
ভারত সফরে প্রথম ওয়ানডে হেরে গেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে নাসির হোসেনের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সমতায় ফিরেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল। রোববার সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে মুমিনুল-নাসিরদের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। তবে সুরেশ রায়নার শতক ও সঞ্জু স্যামসনের শতকের কাছাকাছি ইনিংস ভারত ‘এ’ দলকে ৬ উইকেটে ২৯৭ রানের ভালো সংগ্রহ এনে দিয়েছে।
বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমেই বিপদে পড়ে গেছে স্বাগতিক দল। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই মায়াঙ্ক আগারওয়ালকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের গ্লাভসবন্দি করেছেন পেসার শফিউল ইসলাম। প্রথম দুই ম্যাচে ৫৬ ও ২৪ রান করা আগারওয়াল এবার আউট হয়েছেন মাত্র ৪ রান করে।
দলীয় পাঁচ রানে ধাক্কা খেলেও দ্বিতীয় উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়ে ভারতীয় শিবিরে স্বস্তি নিয়ে এসেছিলেন স্যামসন ও অন্য ওপেনার উন্মুক্ত চাঁদ। ২০তম ওভারে চাঁদকে বোল্ড করে জুটিটা ভেঙে দেন বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানি। ভারত ‘এ’ অধিনায়কের ৪১ রানের লড়াকু ইনিংস গড়ে উঠেছে ৬৮ বলে।
দলীয় ৮৭ রানে চাঁদের বিদায়ের পর স্বাগতিকদের এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্যামসন ও রায়না। স্যামসনকে শতক হাতছানি দিচ্ছিল। তবে ৯০ রান করে আল আমিনের বলে বোল্ড হয়ে গেছেন তিনি। স্যামসনের ৯৯ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার ও একটি ছক্কা।
তবে রায়নাকে শতকবঞ্চিত করতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। রুবেল হোসেনের করা ইনিংসের শেষ ওভারে কট বিহাইন্ড হওয়ার আগে ১০৪ রান করেছেন ভারত ‘এ’ দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ৯৪ বলের ইনিংসটা গড়ে উঠেছে নয়টি চার ও একটি ছক্কায়।
বাংলাদেশের পক্ষে শফিউল দুটি এবং একটি করে উইকেট নিয়েছেন আল আমিন, রুবেল, সানি ও নাসির হোসেন।
প্রথম ওয়ানডে ৯৬ রানে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল ভারত ‘এ’ দল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশ সমতায় ফিরেছে ৬৫ রানের জয় দিয়ে। ৯৬ বলে অপরাজিত ১০২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলার পর বল হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে ‘এ’ দলের জয়ের নায়ক নাসির।
বাংলাদেশ ‘এ’ দল : মুমিনুল হক (অধিনায়ক), রনি তালুকদার, সৌম্য সরকার, এনামুল হক, লিটন দাস, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, আরাফাত সানি, শফিউল ইসলাম, রুবেল হোসেন ও আল আমিন হোসেন।