‘অনেক দিন এমন ফিল্ডিং দেখিনি’
তৃতীয়বারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের মতো দলকে হারিয়ে এই সাফল্য পেয়েছে লাল-সবুজের দল। তাই ক্রিকেটাররা প্রশংসায় ভাসছেন। দু-একটি ভুলত্রুটি বাদ দিলে এই ম্যাচে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা ফিল্ডিংও করেছেন দারুণ।
মরুর দেশে প্রচণ্ড গরমেও এক-একটি রান বাঁচাতে ক্রিকেটাররা ছিলেন মরিয়া। অধিনায়ক মাশরাফি নিজেও চমৎকার ফিল্ডিং করেছেন। তাঁর অসাধারণ একটি ক্যাচে অভিজ্ঞ পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান শোয়েব মালিক সাজঘরে ফিরে গেছেন। সে সময় বাংলাদেশ অধিনায়কের এই ক্যাচ ক্রিকেটারদের দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছিল। আর দলকে ম্যাচে ফেরায়।
আঙুলে ব্যথা পেয়েও ব্যান্ডেজ নিয়ে মাশরাফি যেভাবে ফিল্ডিং করেছেন, তা সত্যিই অসাধারণ ছিল। বল ধরতে গিয়ে হাতে ব্যথা পাচ্ছেন, তারপরও থামছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। তাঁকে দেখে মাহমুদউল্লাহ, সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজরা নিজেদের উজাড় করে দিয়েছেন মাঠে।
তাই সতীর্থদের প্রশংসা করতে ভোলেননি মাশরাফি, ‘সত্যিই আমাদের ফিল্ডাররা এদিন নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে। খেলোয়াড়দের এমন ফিল্ডিং নিয়ে সত্যিই গর্ব করা যেতে পারে। অনেক দিন এমন ফিল্ডিং আমরা দেখিনি। আসলে দলের সাফল্যের জন্য খেলোয়াড়দের মধ্যে যে চেষ্টা ছিল, তা ফুটে উঠেছে ম্যাচে।’
আর নিজের ফিল্ডিং নিয়ে বাংলোদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘সে সময় শোয়েব মালিকের ক্যাচটা ধরতে পারা দলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তা না হলে সে ম্যাচটা অনেকদূর নিয়ে যেতে পারত। আমি ভাগ্যবান যে ক্যাচটা ধরতে পেরেছি।’
পুরো দল অসাধারণ ফিল্ডিং করলেও উইকেটকিপার লিটন দাস দুটি ক্যাচ ফেলে দিয়ে কিছুটা সমালোচিত হয়েছেন। তবে সে ব্যর্থতা ঢাকা পড়েছে দলের অসাধারণ জয়ে।
এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩৭ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের করা ২৩৯ রানের জবাবে পাকিস্তানের ইনিংস থেমে যায় ২০২ রানে। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো আসরের ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ।