কোহলির ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে বাংলাদেশি সমর্থকরা?
এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের কাছে হেরে শিরোপা হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। আসরে তৃতীয়বার ফাইনালে উঠেও শিরোপা জিততে না পারায় হতাশ হয়েছে বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরা। তবে এর চেয়ে বেশি হতাশা ছিল ওপেনার লিটন দাসের বিতর্কিত আউট নিয়ে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে খবর, এর জন্য নাকি বিরাট কোহলির অফিশিয়াল ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে বাংলাদেশি সমর্থকরা।
ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, সিএসআই নামে একটি বাংলাদেশি হ্যাকিং গ্রুপ ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলির ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে।
কোহলির ওয়েবসাইট হ্যাক করেই ক্ষান্ত হয়নি তারা, তিনটি ছবি আপলোড করেছে। আর সেখানে লিখেও দিয়েছে ‘হ্যাকড বাই সিএসআই’। এর সঙ্গে স্যুট পরিহিত একটি দেহাবয়ব, যার মস্তিষ্ক নেই এবং পেছনে পাখির ডানা এমন একটি ছবিও আপলোড করে তারা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, সদ্য সমাপ্ত এশিয়া কাপের ফাইনালে লিটন দাসের বিতর্কিত আউটের বদলা হিসেবেই নাকি কোহলির ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে বাংলাদেশি হ্যাকাররা।
সে ম্যাচের ৪১তম ওভারে ভারতীয় লেগস্পিনার কুলদীপ যাদবের বল ফ্লিক করতে গিয়েছিলেন লিটন। ব্যাটে-বলে না হওয়ায় উইকেট ভেঙে স্টাম্পিংয়ের আবেদন করেছিলেন ধোনি। থার্ড আম্পায়ার অনেকটা সময় ধরে পর্যালোচনা করে শেষ পর্যন্ত আউটের ঘোষণা দিয়েছেন। ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্যে বলা হচ্ছে, ‘তার পা লাইনেই ছিল। এর পেছনে না। লিটন আউট হলেন খুবই অল্পের ব্যবধানে।… এই মানুষটা এতটাই ভালো খেলেছেন যে তাঁকে আউট করার জন্য আজ এমন কিছুই লাগত।’
কিছুক্ষণ পরে ক্রিকইনফো এক পাঠকের মন্তব্য প্রকাশ করে। যেখানে সোহেল নামের একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘আম্পায়ারের খুবই বাজে সিদ্ধান্ত। বেনিফিট অব ডাউট তো ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যাওয়ার কথা। তাই না?’ তার জবাবে ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্যকার মনে করিয়ে দেন যে, ‘এটা মনে করবেন না যে চার গুণ জুম করে দেখার পরও সেখানে কোনো সন্দেহ ছিল।’
লিটনের পা কোনোভাবেই দাগের বাইরে ছিল না। এসব ক্ষেত্রে ব্যাটসম্যানকে আউট দেওয়ার নজির ক্রিকেটবিশ্বে খুব বেশি নেই। থাকলে অতি অল্পই পাওয়া যাবে। এশিয়া কাপের ফাইনালের মতো একটা বড় ম্যাচে তো কোনোভাবেই নেই। কেন বারবার এই ভারতের বিপক্ষেই বাংলাদেশ জড়ায় এমন বিশ্রী বিতর্কগুলোতে?
২০১৫ সালের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালের ক্ষত কি এখনো শুকিয়েছে? সেই বিতর্কিত নো বলটা? রুবেল হোসেনের বলে রোহিত শর্মা যেভাবে আউট হয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের কারণে? ৪০তম ওভারে সেই জীবন পাওয়ার পর তিনি যোগ করেছিলেন আরো ৪৭ রান। যেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল ভারতের জয়ের পেছনে।