জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলাটাও চ্যালেঞ্জ!
সামর্থ্যের বিচারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অনেকটাই এগিয়ে বাংলাদেশ। তাই এই দলটির বিপক্ষে হেসে-খেলেই জয় পাওয়ার কথা। অথচ তাদের হালকাভাবে দেখছে না স্বাগতিকরা। নিজেদের সেরাটা দিয়েই খেলতে চায় তারা। কারণ ব্যর্থ হলে যে অনেক সমালোচনা সইতে হবে। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলাটাকেও বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
আজ শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেন, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জিতলে সবাই বলবে এটাই স্বাভাবিক, হারলে গল্পটাই তো অন্যরকম হবে। সবার প্রত্যাশা থাকে আমরাই জিতব, সেটা স্বাভাবিক। তবে আমার কাছে মনে হয়, অন্য দলগুলোর বিপক্ষে যে চ্যালেঞ্জ থাকে, এবারও তেমনই থাকবে। তা ছাড়া চ্যালেঞ্জ তো প্রতি ম্যাচেই থাকে।’
তারপরও সাফল্য পেতে খুবই আশাবাদী বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আশা করছি আগামীকালের ম্যাচে সবাই নিজেদের সামর্থ্যের সেটা দিয়েই খেলতে পারবে। আমাদের প্রস্তুতিটাও ভালো হয়েছে। তা ছাড়া অনেক দিন পর ঘরের মাঠে খেলতে নামছি, সবাই নিশ্চয়ই বেশ আত্মবিশ্বাসী।’
এবারের দলে নেই দুই তারকা সাকিব-তামিম। তাদের অনুপস্থিতে কেমন কারবে বাংলাদেশ এমন এক প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘চোটের কারণে সাকিব ও তামিম খেলতে পারবে না, এটা আগে থেকেই জানা। তাই দলের প্রস্তুতিটা সেভাবে নেওয়া হয়েছে।’
আর জিম্বাবুয়ে দল সম্পর্কে নড়াইল এক্সপ্রেস বলেন, ‘সাফল্য পেতে হলে এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শতভাগ উজাড় করে দিয়েই খেলতে হবে আমাদের। কারণ তাদের এই দলটি খুবই ভারসাম্যপূর্ণ। সিনিয়র কয়েকজন ক্রিকেটার দলে ফিরেছেন। দলটির শক্তিটাও অনেক বেড়েছে। তাই তাদের বিপক্ষে কাজটা মোটেও সহজ হবে না।’
আগামীকাল রোববার ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ শুরু হবে। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। চট্টগ্রামে সিরিজের বাকি দুটি ওয়ানডে হবে ২৪ ও ২৬ অক্টোবর।
সিলিটে প্রথম টেস্ট হবে ৩ থেকে ৭ নভেম্বর। আর ঢাকায় দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট ১১ থেকে ১৫ নভেম্বর।