রোনালদোর ৫০০ গোলের অপেক্ষা আরো দীর্ঘ
আরেকটি গোল করলেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ক্যারিয়ারে ৫০০ গোল হয়ে যাবে ফিফা ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর। আরাধ্য গোলের সামনে দাঁড়িয়ে কি কিছুটা ‘নার্ভাস’ তিনি? এ মাসের মাঝামাঝি টানা দুই ম্যাচ আট গোল (৫+৩) করে কীর্তিটা থেকে হাতছোঁয়া দূরত্বে রোনালদো। কিন্তু পরপর দুই ম্যাচে গোলবঞ্চিত থাকায় অপেক্ষার প্রহর দীর্ঘ হলো তিনবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর গ্রেনাদার বিপক্ষে গোল করতে পারেননি রোনালদো। বুধবার রাতে অ্যাথলেতিক বিলওবায়ের মাঠেও লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ রিয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে বড় তারকা। তাতে অবশ্য রিয়ালের জয় আটকায়নি। ফরাসি স্ট্রাইকার করিম বেনজেমার জোড়া গোলে বিলবাওকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে লা লিগার শীর্ষস্থান দখল করেছে স্পেনের সফলতম ক্লাবটি।
গত ১২ সেপ্টেম্বর লা লিগায় রোনালদোর পাঁচ গোলে এসপানিওলকে ৬-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছিল রিয়াল। চার দিন পর আবার তাঁর চমক। সেদিন চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর হ্যাটট্রিকে ইউক্রেনের শাখতার দোনেৎস্ক ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল। ওই দুই ম্যাচে আট গোল করে রাউল গঞ্জালেজের একটি কীর্তির অনেক কাছাকাছি চলে যান তিনি। রিয়ালের জার্সি গায়ে সবচেয়ে বেশি ৩২৩টি গোল করার কৃতিত্ব রাউলের। তবে রিয়াল-কিংবদন্তির চেয়ে মাত্র দুই গোলে পিছিয়ে আছেন পর্তুগিজ তারকা। শুধু লা লিগার হিসাব ধরলে অবশ্য রোনালদোই রিয়ালের মধ্যে সবার ওপরে। স্পেনের সেরা লিগে স্পেনের সেরা দলের পক্ষে তাঁরই সবচেয়ে বেশি গোল।
রোনালদো আবার ব্যর্থ হলেও বিলবাওয়ের মাঠ সান মামেস স্টেডিয়ামে দারুণ উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচ উপভোগ করেছেন দর্শক। প্রতিপক্ষের মাঠে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল রিয়াল, ১৯ মিনিটে বেনজেমার গোলে। দীর্ঘক্ষণ লিড ধরে রাখলেও ৬৭ মিনিটে আর পারেনি লা লিগার রেকর্ড ৩২ বারের চ্যাম্পিয়নরা। ৬৭ মিনিটে বিলবাওকে সমতায় ফেরান ফরোয়ার্ড সাবিন মেরিনো। তবে জয়সূচক গোলের দেখা পেতে বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি রিয়ালকে। তিন মিনিট পর আরেকটি গোল করে দলের তিনটি মূল্যবান পয়েন্ট প্রাপ্তি নিশ্চিত করেছেন বেনজেমা।
নিজেদের জয় ও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার হার রিয়ালকে পৌঁছে দিয়েছে লা লিগার শীর্ষে। পাঁচটি করে ম্যাচ খেলে রিয়াল মাদ্রিদ, সেল্তা ভিগো আর ভিয়ারিয়ালের সংগ্রহ ১৩ পয়েন্ট করে। তবে শ্রেয়তর গোল গড়ে এই তিন দলের অবস্থান যথাক্রমে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয়। সেল্তার মাঠে ৪-১ গোলের পরাজয় শীর্ষ থেকে বার্সেলোনাকে ঠেলে দিয়েছে পঞ্চম স্থানে। তাদের পয়েন্ট ১২। আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্টও ১২, কিন্তু গোল ব্যবধানে বার্সার চেয়ে এগিয়ে আছে তারা।