যে ইতিহাস প্রথম গড়ল বাংলাদেশ
২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পায় বাংলাদেশ। এরপর ভারতের সঙ্গে সেই বছরের নভেম্বরেই প্রথম আন্তর্জাতিক টেস্টে অভিষেক হয় দলটির। তবে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ বাংলাদেশ পেয়েছিল চার বছর পর, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। এরপর ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকেও টেস্টে হারানোর রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের। তবে আজ রোববার মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে অন্যরকম ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। এই প্রথমবারের মতো টেস্টে কোনো দলকে ফলোঅনে ফেলেছে তারা।
ফলোঅনের ইতিহাসটা অবশ্য কিছুদিন আগেই জিম্বাবুয়ে সিরিজেই হতে পারত। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে টাইগাররা করেছিল ৫২২ রান। অথচ জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩০৪ রান তুলতে সমর্থ হয়। তখনই জিম্বাবুয়েকে ফলোঅনে ফেলার সুযোগ এসেছিল বাংলাদেশের সামনে। তবে আবারও ব্যাটিংয়ে নেমে নিজেদের ইনিংস শক্ত করেছিল মাহমুদউল্লাহর দল। তবে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে তেমন কোনো চিন্তাই করতে হয়নি অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। কারণ, প্রথম ইনিংসে ৫০৮ রান করার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজদের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১১১ রানে! তাই বাংলাদেশের বিপক্ষে ফলোঅনে পড়ে আবারও ব্যাট করতে নামেন ক্রেইগ ব্রাফেটরা।
এই ইতিহাস সৃষ্টির অংশ হয়ে থাকবেন অধিনায়ক সাকিব এবং তরুণ খেলোয়াড় মেহেদী হাসান মিরাজ। কারণ, সবকটি উইকেট যে এই দুজন স্পিনারই নিয়েছেন দলের হয়ে! খুব আশ্চর্য শোনালেও সত্য, সবকটি উইকেট নিতে বাংলাদেশকে বল করতে হয়েছে মাত্র ৩৬.৪ ওভার। এর মধ্যে মাত্র তিন ওভার বল করেছেন অভিষিক্ত তরুণ নাঈম হাসান, এক ওভার করে বল করেছিলেন বিগত টেস্টের সবচেয়ে বেশি উইকেটশিকারী তাইজুল ইসলাম এবং সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। আর উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন বাকি ৩১.৪ ওভার বল করা সাকিব ও মিরাজ। ১৫.৪ ওভার বল করে সাকিব পেয়েছেন তিন উইকেট। বাকি সাত উইকেট মিরাজ নিয়েছেন ১৬ ওভার বল করে। তাঁদের বোলিং তোপে সফরকারীদের মধ্যে শুধু তিনজন খেলোয়াড় দুই অঙ্কের রানের মুখ দেখেছে।
এমন ধারাবাহিকতা খেলোয়াড়রা ধরে রাখতে পারেন কি না, সেটিই এখন দেখার বিষয়।