ইরানের নারী ফুটবল দলে আটজন পুরুষ!
গত বছর ইরানের নারী ফুটবল দলে চারজন পুরুষ খেলোয়াড় থাকার অভিযোগ উঠেছিল। এখন সংখ্যাটা হয়ে গেছে দ্বিগুণ! ইরানের নারী ফুটবল দলে আটজন পুরুষ থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে জন্য পুরো জাতীয় দল ও লিগের শীর্ষ খেলোয়াড়দের লিঙ্গ-পরীক্ষার সামনে পড়তে হবে।
ইরানিয়ান ফুটবল লিগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মোজতাবি শরিফি বলেছেন, ‘লিঙ্গ পরিবর্তনের অস্ত্রোপচার না করেই ইরানের নারী ফুটবল দলে আটজন খেলছেন।’ নারী ফুটবল দলে জিনগতভাবে বেশি শক্তিশালী খেলোয়াড়দের জায়গা দেওয়ায় ইরানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘অনৈতিকতা’র অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই। এবার সেই ফুটবল কর্মকর্তারাই জাতীয় দল ও পেশাদার লিগের শীর্ষ খেলোয়াড়দের লিঙ্গ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরানের নারী ফুটবলারদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ অবশ্য বেশ পুরোনো। ২০১০ সালে জাতীয় দলের গোলরক্ষককে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। গত বছর অভিযুক্ত হয়েছিলেন চারজন। তার পর থেকেই নারী ফুটবলারদের লিঙ্গ পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করে ইরানের ফুটবল কর্তৃপক্ষ।
গত বছর ইরানিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের মেডিকেল কমিটির প্রধান আহমাদ হাশেমিয়ান বলেছিলেন, ‘যাদের নিয়ে সমস্যা হচ্ছে তারা যদি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তাদের সমস্যার সমাধান করে ফেলতে পারে, নারী দলে জায়গা করে নেওয়ার আবশ্যিক শর্তগুলো পূরণ করতে পারে, তাহলেই কেবল তারা জাতীয় দলে অংশ নিতে পারবে।’ এবারও হয়তো তেমন পরিস্থিতির সামনে পড়তে হচ্ছে ইরানের বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে।
তবে শুধু নেতিবাচক নয়, সাম্প্রতিক সময়ে ইতিবাচক কারণেও সংবাদ শিরোনাম হয়েছে ইরানের নারী ফুটবল দল। গত সপ্তাহেই জাপানকে হারিয়ে এএফসি নারী ফুটসাল প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতেছে তারা। পাঁচজনের দল নিয়ে গড়া ফুটবলের সংক্ষিপ্ত রূপ ফুটসাল খেলা হয় ইনডোর স্টেডিয়ামে।