ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে অনেক মধুর সময় কাটিয়েছেন অ্যালেক্স ফার্গুসন ও ডেভিড বেকহাম। ১৯৯২ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ফার্গুসন-বেকহাম জুটি জয় করেছিল ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ ও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা। ২০০৩ সালে ‘গুরু-শিষ্য’র বিবাদ ঝড় তুলেছিল ফুটবলে। তবে সব তিক্ততা পেছনে ফেলে আবার জুটি বাঁধতে যাচ্ছেন দুজনে। ইউনিসেফের জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশে একটি চ্যারিটি ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক বেকহাম। আর বেকহামের দলের কোচ হিসেবে দেখা যাবে ম্যানইউর কিংবদন্তি কোচ ফার্গুসনকে।

ম্যানইউর মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে আগামী ১৪ নভেম্বর মুখোমুখি হবে যুক্তরাজ্য-আয়ারল্যান্ড একাদশ এবং বিশ্ব একাদশ। যুক্তরাজ্য-আয়ারল্যান্ড একাদশের অধিনায়ক বেকহামের ওপরই পড়েছিল কোচ নির্বাচনের দায়িত্ব। দায়িত্বটা পেয়ে সাবেক কোচের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বেকহাম। প্রস্তাব পেয়ে ফার্গুসনও আপত্তি করেননি। বিশ্ব একাদশকে নেতৃত্ব দেবেন ফরাসি কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান। এই দলের কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

এক সময় দুজনের মধ্যে তিক্ত সম্পর্ক থাকলেও ফার্গুসনকে এখনো আগের মতো শ্রদ্ধা করেন বেকহাম। বিবিসি রেডিওর সঙ্গে কথা বলার সময় সাবেক কোচের প্রতি এই তারকা মিডফিল্ডারের শ্রদ্ধার্ঘ্য, ‘তিনি আমার কাছে বাবার মতো। আমরা খেলোয়াড়ি-জীবনে তাঁর সামনে ওয়াইন বা বিয়ার পান করার কথা কল্পনাও করতে পারতাম না। কিছুদিন আগে দীর্ঘদিন পর তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। আমি তাঁর সঙ্গে কথা বলছিলাম। তখন কেউ একজন আমার হাতে একটা ওয়াইনের গ্লাস ধরিয়ে দিয়েছিল। প্রায় ২০ মিনিট গ্লাসটা আমার পেছনে লুকিয়ে রেখেছিলাম। পরে নিকি বাট আর পল স্কলস আমাকে বলেছিল যে তারাও একই কাজ করেছিল। আমরা সবাই ওয়াইনের গ্লাস আমাদের পেছনে লুকিয়ে রেখেছিলাম।’

দীর্ঘ ১১ বছর ফার্গুসনের অধীনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে খেলা বেকহামকে ২০০৩ সালে এক অপ্রীতিকর অবস্থায় পড়তে হয়েছিল। একটি ম্যাচে ম্যানইউর পারফরম্যান্সে হতাশ হয়ে ড্রেসিংরুমের মেঝেতে পড়ে থাকা একটা বুটে লাথি মেরেছিলেন ক্ষুব্ধ-হতাশ ফার্গুসন। দুর্ঘটনাক্রমে বুটটা গিয়ে আঘাত করেছিল বেকহামের বাঁ চোখের ওপরে। এরপর থেকেই দুজনের সম্পর্কের অবনতি শুরু। ওই ঘটনার চার মাস পর বেকহাম যোগ দিয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদে। পরে আত্মজীবনীতে বেকহামের সমালোচনা করেছিলেন ফার্গুসন। তবে এখন দুজনের মধ্যে কোনো তিক্ততা নেই।