প্রোটিয়াদের কাছে হোয়াইটওয়াশ পাকিস্তান
ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে যাওয়া অসাধারণ এক টেস্ট ম্যাচ দেখল জোহানেসবার্গ। দক্ষিণ আফ্রিকার দুরন্ত পেস আক্রমণ আর চিরায়ত বাউন্সি উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ৩৮০ রান করার প্রায় অসাধ্য সাধন করতে নামে পাকিস্তান। কিন্তু সফরকারীদের দ্বিতীয় ইনিংস ২৭৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে ১০৭ রানের বড় জয় পেল প্রোটিয়ারা। এর ফলে টানা তিন টেস্ট হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হলো সরফরাজের দলকে।
এর আগে হাশিম আমলা আর কুইন্টন ডি ককের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৩৭৯ রানের বড় লিড পায় স্বাগতিকরা। আমলা ৭১ রানে আউট হয়ে গেলেও ১৩৮ বল থেকে ১৮টি চার আর এক ছয়ে ১২৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস উপহার দেন ডি কক। তবে মাত্র এক রানে শেষ তিনটি উইকেট হারালে ৩০২ রানে থেমে যায় আফ্রিকানদের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ৭৭ রানের লিড পেয়েছিল তারা।
নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ৩৭৭ রানের বেশি তাড়া করে জেতার রেকর্ড নেই পাকিস্তানের। টেস্ট ক্রিকেটের ১৩২ বছরের ইতিহাসেই চতুর্থ ইনিংসে ৩৮০ বা ততধিক রান তাড়া করে জেতার রেকর্ড আছে মাত্র ছয়টি। তাই পুরো সিরিজে কোনো ইনিংসে ৩০০ রান স্কোর করতে না পারা পাকিস্তানের জন্য প্রায় অসম্ভব এক চ্যালেঞ্জ হয়েই আসে এই টার্গেট। কিন্তু শান মাসুদ আর ইমাম-উল হক উদ্বোধনী জুটিতে ৬৭ রান তুলে ফেললে নড়েচড়ে বসে পাকিস্তান সমর্থকরা।
কিন্তু ডেল স্টেইনের জোড়া আঘাতের পর দলীয় ১০৪ রানে আজহার আলীও ফিরে গেলে বিপর্যয়ে পড়ে সরফরাজের দল। তবে বাবর আজম আর আসাদ শফিক হতোদ্যম না হয়ে দারুণ পাল্টা আক্রমণ করতে থাকেন। ১৫৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করে তারা। চতুর্থ দিন সকালে বাবর আজমকে আউট করে আসাদ শফিকের সাথে ৫৮ রানের জুটি ভাঙেন ডুয়ানে অলিভিয়ের। আর পরের বলেই অধিনায়ক সরফরাজকে বোল্ড করে পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা দেন এই পেসার। সর্বোচ্চ ৬৫ রান করে আসাদ শফিকও আউট হয়ে গেলে সব আশা শেষ হয়ে যায় তাদের। স্পিনার শাদাব খান অপরাজিত ৪৭ রান করলেও শেষ পর্যন্ত ২৭৩ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার অলিভিয়ের তিনটি, রাবাদা তিনটি ও স্টেইন নেন দুটি উইকেট।
অসাধারণ ইনিংস খেলে প্লেয়ার অব দা ম্যাচ হয়েছেন কুইন্টন ডি কক। আর পুরো সিরিজে বল হাতে আগুন ঝরিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন পেসার ডুয়ানে অলিভিয়ের।