প্রথম ওয়ানডেতে জয় পেল পাকিস্তান
অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে জয়ের দেখা পেল সরফরাজ আহমেদের দল। প্রথম ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের পাঁচ উইকেটে হারিয়ে এ জয় পেল সফরকারীরা। রান তাড়া করতে বরাবরই দুর্বল পাকিস্তান টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ২৬৬ রান পাঁচ বল বাকি থাকতে পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় তারা।
পোর্ট এলিজাবেথে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে হাশিম আমলার সেঞ্চুরি ও ভ্যান ডার ডুসেনের ৯০-ঊর্ধ্ব ইনিংসের ওপর ভর করে দুই উইকেটে ২৬৬ রান করে স্বাগতিকরা। ওপেনিংয়ে নেমে ‘ক্যারি থ্রু দ্য ব্যাট’ ইনিংস খেলে ক্যারিয়ারের ২৭তম সেঞ্চুরি করেন আমলা। ১২০ বল খেলে ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। অন্যদিকে সেঞ্চুরির মাত্র সাত রান দূরে থাকতে হাসান আলির বলে ভ্যান ডার ডুসেন আউট হয়ে যান। ১০১ বল খেলে ৯৩ রান করে আউট হন তিনি। কিন্তু দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১৫৫ রান করলেও দুজনের ধীরলয়ে ব্যাটিংয়ের কারণে সুবিধাজনক অবস্থায় থেকেও বড় রান করতে ব্যর্থ হয় প্রোটিয়ারা। স্পিনার শাদাব খান ও পেসার হাসান আলি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে একটি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। দলীয় ৪৫ রানে ফখর জামান আউট হয়ে গেলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। কিন্তু ইমাম-উল হক ওয়ানডাউনে নামা বাবর আজমকে নিয়ে ৯৪ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে খেলায় রাখেন। ব্যক্তিগত ৪৯ রান করে বাবর ও ৮৬ রান করে ইমাম আউট হয়ে যাওয়ার পর শোয়েব মালিক ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ দ্রুত ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে মিকি আর্থারের শিষ্যরা। কিন্তু অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ শাদাব খানকে নিয়ে সময়োপযোগী একটি ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেন। ৬৩ বলে আটটি চার ও দুটি ছক্কায় অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংস খেলে ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন হাফিজ। শাদাব খান করেন ১৮ রান।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২২ জানুয়ারি দুই দল আবার মুখোমুখি হবে।